অবহেলায় দিন কাটছে পি জি হাসপাতালে নোবেলজয়ী রোনাল্ড রসের উন্মোচন করে যাওয়া স্মৃতি ফলক। শতাব্দী প্রাচীন এই স্থানটি এখন গণপ্রস্রাবাগারে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, যেখানে এই স্মৃতি ফলকটি রয়েছে, তার ঠিক পিছনদিকেই দিকেই রয়েছে আবর্জনা ফেলার জায়গা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
১৮৯৭ সালে রোনাল্ড রসই প্রথম জানিয়েছিলেন, ম্যালেরিয়া জীবাণু বাহক মশাই। কিভাবে মশা ম্যালেরিয়ার জীবাণু সংক্রমিত করে, সেবিষয়েও স্পষ্ট ধারণা দিয়েছিলেন রোনাল্ড রস। তাঁর গবেষণা থেকেই জানা যায়, ম্যালেরিয়ার জীবাণু থাকে মশার লালাগ্রন্থিতে। এই আবিষ্কারের জন্যই রোনাল্ড রস নোবেল পুরস্কার পান। ২৫ বছর পর ১৯২৭ সালে পি জি হাসপাতালের পোস্ট অফিসের কাছে ফুটপাতের গাঁ ঘেঁষে একটি স্মৃতি ফলকের উন্মোচন নিজেই করেছিলেন রোনাল্ড রস। ফলকে তাঁর খোদিত মূর্তি ও স্ত্রীকে লেখা তাঁর কবিতা রয়েছে। বামদিকে লেখা রয়েছে, এই স্থানের দক্ষিণ–পূর্বে ৭০ ইয়ার্ড দূরের গবেষণাগারেই রোনাল্ড রস আবিষ্কার করেন, কীভাবে মশা ম্যালেরিয়া সংক্রমিত করে। সেই স্মৃতি ফলকের কাছেই পথচারীরা প্রস্রাব করে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে দেখছেন না জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, নোবেল প্রাপকের স্মৃতিবিজরিত এই জায়গাটিকে পুনঃসংরক্ষণ করে রাখা দরকার। নোবেলপ্রাপকের আরও একটু বেশি সম্মান হয়ত প্রাপ্য ছিল।
এই বিষয়ে পি জি হাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও স্বাস্থ্য অধিকর্তা শিক্ষা ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য জানান, ‘বিষয়টি অবিলম্বে দেখছি।’ ইতিমধ্যে রোনাল্ড রসের নামে হাসপাতালে একটি বাড়ির নামকরণ করা হয়েছে। তবে নোবেলজয়ী নিজের হাতে উন্মোচিত করা ফলকটি যেভাবে অবহেলায় পড়ে রয়েছে, তা নিয়ে অনেকের মনেই এখন থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।