তাহলে কি অপরচিত কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারব না? বাম নেতা কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারির বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের মামলায় এই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। যে ভাবে কলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে ‘ঔপনিবেশিক বদঅভ্যাস’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার এই মামলায় রাজ্যের বক্তব্য শুনবে আদালত।
আরও পড়ুন - ‘একটা অত্যাচারী লোক, যে ব্রিটিশের অত্যাচারকেও হার মানিয়েছে’
পড়তে থাকুন - মনোজ ভার্মাকে 'সিপিএমের দালাল' বলেছিলেন মমতা, বিনীত সরতেই তিনিই হলেন নতুন সিপি
বিধাননগরের সেক্টর ফাইভে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি করে একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে আনেন এক তৃণমূল নেতা। সেই ক্লিপের সূত্রে ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে DYFIনেতা তথা ছাত্র সংগ্রামের সম্পাদক কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ১৩ সেপ্টেম্বর সঞ্জয় দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল লালবাজার।
কলতানের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় বুধবার গ্রেফতার বাম নেতার হয়ে সওয়াল করেন বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন আদালতে বিকাশবাবু বলেন, যে পেন ড্রাইভের ভিত্তিতে পুলিশ কলতানের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে তা কোথা থেকে এসেছে এখনও জানা যায়নি। তাছাড়া কলতানের গ্রেফতারি বেআইনি। তাঁর বিরুদ্ধে মাত্র ১টি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যার শাস্তির মেয়াদ ৩ বছরের কম। এক্ষেত্রে তাঁকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব কার যেত। তা না করে কলতানকে রাস্তা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিকাশবাবু বলেন, ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা অপরিচিত ব্যক্তির বক্তব্যের ভিত্তিতে কি কাউকে গ্রেফতার করা যায়?
আরও পড়ুন - চলবে কর্মবিরতি! রাত দেড়টায় ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের, ফের মমতার সঙ্গে বৈঠক চান
একথা শুনে বিচারপতি ভরদ্বাজ বলেন, ‘এ তো ভয়ঙ্কর ব্যাপার। তাহলে কি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এলে ধরব না? এভাবে তো যে কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়া যেতে পারে।’