Extortion: বেহালায় ৫০ হাজার টাকা তোলা চেয়ে প্রোমোটারকে হুমকি, ক্লাবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

আগে নিজেও তোলাবাজির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যীশু। সেই সময় স্থানীয়দের কাছ থেকে ‘তোলাবাজ’ তকমা পেয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, কোনও কাজ করতে গেলে নাকি তাকে ধরতে হতো, টাকা দিতে হতো। তবে এখন তিনি তোলাবাজির সঙ্গে আর যুক্ত নন। বর্তমানে প্রোমোটারির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যীশু।

একসময় তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই প্রোমোটারের কাছ থেকেই হাফ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বেহালার। যীশু জৈন নামে ওই প্রোমোটারকে স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা তোলা চেয়ে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও তোলাবাজির অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লাবের সদস্যরা।

জানা গিয়েছে, আগে নিজেও তোলাবাজির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যীশু। সেই সময় স্থানীয়দের কাছ থেকে ‘তোলাবাজ’ তকমা পেয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, কোনও কাজ করতে গেলে নাকি তাকে ধরতে হতো, টাকা দিতে হতো। তবে এখন তিনি তোলাবাজির সঙ্গে আর যুক্ত নন। বর্তমানে প্রোমোটারির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যীশু। অভিযোগ, সোমবার স্থানীয় ক্লাবের কয়েকজন সদস্য তার কাছে যায়। তারা ৫০ হাজার টাকা তোলা দাবি করে। তবে এত পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকার করেন যীশু। ক্লাবের সদস্যের তিনি জানিয়ে দেন, তার পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়, তার পরিবর্তে তিনি অর্ধেক টাকা দেবেন।অভিযোগ তারপরেও ক্লাবের সদস্য জয়দীপ সরকার তাকে ফোন করে বলে টাকা দিতে হবে হুমকি দেন। 

প্রোমোটারের কথায়, তিনি বলেছিলেন ৫০ হাজার টাকা দিতে পারবেন না তবে ২৫ হাজার টাকা দেবেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও হুমকি দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এলাকায় একটি বহুতল তৈরি করছেন ওই প্রোমোটার। অভিযোগ, সেই বহুতলের নির্মাণ কাজে যুক্ত শ্রমিকদের হুমকি দিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। তার ফলে ভয় পেয়ে শ্রমিকরা পালাতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এই অবস্থায় তিনি নতুন শ্রমিকের খোঁজ করছেন। ক্লাবের সদস্যের হুমকির ফলে তিনি চরম সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় সুরাহা চেয়ে তিনি পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন।

অন্যদিকে, ক্লাবের সদস্যের বক্তব্য, কে তোলাবাজি করে সেটা সকলেই ভালোমতো জানে। ওই প্রোমোটার আগে তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার কাছে ক্লাবের উন্নয়নের জন্য টাকা চাওয়া হয়েছিল মাত্র।  হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে। ক্লাবের সদস্য জয়দেব সরকার জানান, তিনি নিজেই টাকা চেয়ে যীশুর কাছে ফোন করেছিলেন।  তবে কোনও রকমের হুমকি দেননি তিনি।