আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদ করে রবিবার দুপুরেই রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২ পাতার চিঠি লিখে তাঁর সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। এবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন প্রাক্তন এই আমলা। তাঁর সাফ কথা, গত ১ মাস ধরে যা চলছে তা সহ্য করা যায় না।
আরও পড়ুন - 'নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন, নইলে পুলিশকর্মীদের নিম গাছে বেঁধে রাখব'
পড়তে থাকুন - অবহেলায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ ভুয়ো, অভিষেকের পোস্টের জবাব দিলেন আরজি করের সুপার
জহরবাবু বলেন, ‘আরজি কর কাণ্ড সামলাতে পারছে না কেউ। না এদিককার সমাধান হচ্ছে, না বিক্ষোভ থামছে, প্রতিদিন মানুষ রাস্তায় নামছে, বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এরকম একটা পরিস্থিতি এক মাস ধরে রাজ্যে চলছে। এটা তো সহ্য করা যায় না। এর তো একটা বিহিত করতে হবে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে জহরবাবু জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। তাই সরকার সত্যি কথা বললেও মানুষ তা বিশ্বাস করছে না। এমনকী তৃণমূলের নিচু তলার নেতা - কর্মীদের জীবনযাত্রায় বাহুল্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন - 'আরজি করের নতুন মেশিনগুলো সব নিজের নার্সিংহোমে লাগিয়েছে'
২০২১ সালের ৪ অগাস্ট রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে শপথ নেন জহর সরকার। দীনেশ ত্রিবেদীর আগাম ইস্তফায় খালি হওয়া আসনে তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদীর কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত জহর সরকারের সাংসদ পদের মেয়াদ ১ বছর হতে না হতেই রাজ্যে প্রকাশ্যে আসে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি। তৃণমূলের মহাসচিব তথা মমতা মন্ত্রিসভার সেকেন্ড ইন কম্যান্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার করে ইডি। এর পরও ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন জহর সরকার। তিনি জানিয়েছিলেন, যে ভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী সম্পর্কে তথ্য উঠে আসছে ও তাঁর ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর বন্ধুরা তাঁকে প্রশ্ন করছেন, ‘তোর কাছেও টাকা এসেছে না কি?’ তবে সেবার জহর সরকারকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে শেষ পর্যন্ত নিরস্ত করতে পেরেছিল তৃণমূল।