আরজি কর কাণ্ডে খুনি সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে সাত তাড়াতাড়ি আদালতে গিয়ে মুখ পুড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। এই মামলায় রাজ্য সরকারের ফাঁসির সাজা চাওয়ার অধিকার নেই, শুক্রবার রাজ্যের আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির রায়ে স্পষ্ট একথা জানাল আদালত। এদিনের রায়ের ফলে এই মামলায় ফের অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল রাজ্য সরকার।
আরজি কর মামলায় শিয়ালদা আদালতের আজীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে খুনি সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির আবেদন করে রাজ্য সরকার। দিন কয়েক পর এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তরফেও আদালতে একই আবেদন জানানো হয়। সঙ্গে সিবিআই প্রশ্ন তোলে, এই মামলায় রাজ্য সরকারের ফাঁসির সাজা চাওয়ার অধিকার আছে কি?
জবাবে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট জেনালের কিশোর দত্ত দাবি করেন, এই মামলায় রাজ্য সরকারের আবেদন সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, যেহেতু ফাঁসির সাজা কার্যকর করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের ওপর ন্যাস্ত ও আইনশৃঙ্খলাও তাদের অধীনে তাই তাদের বক্তব্য অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। পালটা সিবিআইয়ের তরফে সওয়ালে বলা হয়, নিম্ন আদালতে শুনানির সময় রাজ্য সরকারকে পক্ষ করা হয়নি। তাহলে কোন অধিকারে হাইকোর্টে ফাঁসির সাজা চাইতে এসেছে তারা।
শুক্রবার রাজ্যের আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, যেহেতু আরজি কর মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরিত হয়েছে তাই এই মুহূর্তে এই মামললায় ফাঁসির সাজা চাওয়ার অধিকার নেই রাজ্য সরকারের।