লোকসভা নির্বাচন পর্বে স্কুলগুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সময় টানা স্কুলের লাইট, ফ্যান, বৈদ্যুতিন পাম্প কেন্দ্রীয় বাহিনী টানা ব্যবহারের ফলে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের বিল এসেছিল। যা দেখে কার্যত আঁতকে উঠেছিলেন শিক্ষকরা। কোথাও বিল এসেছিল ৪০ হাজার আবার কোথাও ৯০ হাজার। এই অবস্থায় বিল মেটানোর জন্য আগেই রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিল স্কুলগুলি। যদিও প্রাথমিকভাবে স্কুলগুলি বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে দিয়েছিল। এবার এত পরিমাণ বিলের অর্থ কেন্দ্রের কাছ থেকে আদায় করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। সেই কারণে রাজ্যের শিক্ষা দফতর গুগল ফর্মে বিদ্যুতের বিল এবং অন্যান্য তথ্য স্কুলগুলির কাছে চেয়ে পাঠালো। জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে সেই তথ্য পাঠাতে পারে রাজ্য।
আরও পড়ুন: ‘কেষ্ট তো জেলে! আমরা জিতলাম? ইডি-সিবিআই দিয়ে জেতা যাবে না,’ হুঁশ ফেরালেন সুকান্ত
লোকসভা ভোট চলাকালীন বিভিন্ন স্কুল, কলেজেই থেকেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এরফলে ফলে যেমন পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছিল তেমনিই প্রচুর অঙ্কের বিদ্যুতের বিল দেখে কার্যত চক্ষু চরকগাছ হয়েছিল শিক্ষকদের। এই অবস্থায় এত টাকা মেটানো দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন শিক্ষকরা। কলকাতার বিভিন্ন স্কুল যেমন যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল, যাদবপুরের এন কে পাল আদর্শ শিক্ষায়তন সহ একাধিক স্কুলে এরকমই চড়া বিদ্যুতের বিল এসেছিল। যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে যেমন দু’মাসে প্রায় ৯০ হাজার টাকা বিল এসেছিল। তা অবশ্য স্কুল মিটিয়েই দিয়েছিল। আবার যাদবপুরের এন কে পাল আদর্শ শিক্ষায়তনে একমাসে বিদ্যুতের বিল এসেছিল প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সে ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার ফলেই এত পরিমাণ বিল এসেছে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, সারাদিন রাত ২৪ ঘণ্টা ধরেই সবকটি আলো জ্বলেছে। তাছাড়া স্কুলের সবকটি পাখা চলার পাশাপাশি বহু বড় বড় স্ট্যান্ড ফ্যান সব সময় চলেছে। শুধু তাই নয়, জলের পাম্পও চলেছে সব সময়। সেই কারণে এত বিল এসেছে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিক্ষা দফতরের নির্দেশের পরেই গুগল ফর্মে সমস্ত নথি জমা করা হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে এই নথি জমা দেওয়ার শেষ দিন।