Calcutta University: উপাচার্য পদে সোনালির পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল সুপ্রিম কোর্টে

২০২১ সালের ২৭ অগস্ট সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাকে দ্বিতীয়বার উপাচার্য পদে পুনর্বহালের জন্য তৎকালীন রাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব দেয় রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। তৎকালীন রাজ্যপাল প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেটি রাজ্যের কাছে ফেরত পাঠান।

 সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দ্বিতীয়বার পুনর্বহাল করেছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। কলকাতা হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টেও খারিজ হয়ে গেল সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নিয়োগ। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যপালের ক্ষমতার উপর হস্তক্ষেপ করে সোনালিকে দ্বিতীয়বার উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের রায় দিয়েছে তার সম্পূর্ণ সঠিক।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে অশালীন পোস্ট, ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি

শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে যে রিমুভাল অফ ডিফিকাল্টি অ্যাক্ট রয়েছে তার অপব্যবহার করা হয়েছে। একই ব্যাক্তিকে দ্বিতীয়বার উপাচার্য নিয়োগের কোনও এক্তিয়ার নেই রাজ্যের। ২০২১ সালের ২৭ অগস্ট সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাকে দ্বিতীয়বার উপাচার্য পদে পুনর্বহালের জন্য তৎকালীন রাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব দেয় রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। তৎকালীন রাজ্যপাল প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেটি রাজ্যের কাছে ফেরত পাঠান। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদে পুনর্বহাল করে উচ্চশিক্ষা দফতর।

দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সার্চ কমিটির সুপারিশ মেনে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। প্রথমবার সোনালিকে যখন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল তখন সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে উপাচার্য হিসেবে কাউকে পুনর্বহালের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটির সুপারিশ লাগে না। সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নিজেই রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠাতে পারে। সেই মতোই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠিয়েছিল।

এদিকে, সোনালির পূর্বতম মেয়াদের শেষ দিন বিকেলে সোনালিকে পুনর্নিয়োগ করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা দফতর। তারপরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পুনর্নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস।