Acute respiratory infection: রাজ্যে ARI-এ আক্রান্ত ১২,০০০ শিশু, হাসপাতালে ঘুরে পরিসংখ্যান সংগ্রহ করবে টাস্ক ফোর্স

এই টাস্ক ফোর্সের মাথায় রয়েছেন মুখ্যসচিব। টাস্ক ফোর্সের একজন সদস্য জানান, ‘আমরা ভরতি, ডিসচার্জ এবং মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করব। এটি আমাদের এআরআই পরিস্থিতির একটি পরিষ্কার চিত্র পেতে সাহায্য করবে। এই ধরনের ডেটা বেস বিশ্লেষণ করে ত্রুটিগুলি মূল্যায়ন করে আরও ভালোভাবে চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করা হবে।’

এআরআইয়ে মৃত্যু নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রতীকী ছবি

শ্বাসনালীতে (অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন বা এআরআই) সংক্রমণের ফলে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে চলেছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এআরআই শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলায় ১২ হাজারের বেশি শিশু আক্রান্ত হয়েছে। শুধুমাত্র শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে অন্তত ৬২ জন শিশু মারা গিয়েছে। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, অ্যাডিনোভাইরাসে সংক্রমণের ফলে ১৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ শিশুর কমোর্বিডিটি ছিল। এই অবস্থায় শিশু মৃত্যুর সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে রাজ্য। শ্বাসনালীতে সংক্রমণের ফলে কতজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে সেই তথ্য সংগ্রহ করবে এই টাস্ক ফোর্স। অভিজ্ঞ শিশুবিশেষজ্ঞদের নিয়ে, এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও তথ্য সংগ্রহ করবে। এই টাস্ক ফোর্স সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করবে।

এই টাস্ক ফোর্সের মাথায় রয়েছেন মুখ্যসচিব। টাস্ক ফোর্সের একজন সদস্য জানান, ‘আমরা ভরতি, ডিসচার্জ এবং মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করব। এটি আমাদের এআরআই পরিস্থিতির একটি পরিষ্কার চিত্র পেতে সাহায্য করবে। এই ধরনের ডেটা বেস বিশ্লেষণ করে ত্রুটিগুলি মূল্যায়ন করে আরও ভালোভাবে চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক করা হবে।’ তিনি জানান, 'মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা, সমস্ত মৃত্যু অ্যাডিনোভাইরাসে সংক্রমণের কারণে হচ্ছে, যা সত্যি নয়। এটি অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে। এছাড়াও, এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যেখানে শিশুদের জন্মগত স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। তাই আমরা প্রতিটি মৃত্যুর অডিট করা এবং সঠিক তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছি।’

১৩ মার্চ প্রথম বার বৈঠকে বসেছিল টাস্ক ফোর্স। সেখানে প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। এআরআই নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজে এগিয়ে আসবে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব পেডিয়াট্রিশিয়ানস (আইএপি)। সাধারণ মানুষকে সচেতন এবং শিশুদের প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। 

প্রসঙ্গত, রবিবার গভীর রাত থেকে সোমবারের মধ্যে আরও তিন শিশু শ্বাসনালীতে সংক্রমণের ফলে মারা গিয়েছে। সকলেই বিসি রায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। তাদের বয়স এক বছরেরও কম।