কাশীপুরে বিজেপির যুব নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার রহস্যমৃত্যুর তদন্ত নিরপেক্ষ হবে কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, ‘কেন মৃত্যু হল তা জানতে হবে। কিন্তু যেভাবে অমিত শাহ, প্রেসের লোকেরা কনক্লিউশান টেনে দিচ্ছেন, এটা অত্যন্ত অন্যায়।’
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়ি গিয়ে এই ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক হত্যা’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন। অমিত শাহের এই বক্তব্যের কড়া ভাষায় বিরোধিতা করে ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘যে কোনও মৃত্যুই খুব দুঃখের। সে কোন দলের সমর্থক, সেটা নয়। একটা মানুষ মারা গেল। কিন্তু যেভাবে অমিত শাহ, প্রেসের লোকেরা কনক্লিউশান টেনে দিচ্ছেন, এটা অত্যন্ত অন্যায়।’ গোটা ঘটনার চক্রান্ত রয়েছে, এমনটা দাবি করে ফিরহাদ জানান, ‘কেন ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে, সেটা জানতে হবে। অমিত শাহকে ডেকে নিয়ে এসে তাঁর স্টেটমেন্ট দিয়ে পুরো বিষয়টা ঢেকে দেওয়া হল।’
একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, প্রমাণের আগেই এটা খুন নাকি আত্মহত্যা বলা যায় না। একজন ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এজেন্সি রিপোর্ট দেওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিবিআই তদন্তের কথা বলছেন। সেই সঙ্গে মৃত বিজেপি কর্মীর ময়না তদন্তের রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই ঠিক করে দিচ্ছেন, সেনাবাহিনীর অধীনে ময়নাতদন্ত হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশিত পথে যিনি ময়নাতদন্ত করবেন, তিনি কী তাঁর নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সক্ষম হবেন। যদি নিরপেক্ষভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হয়, সেখানে যদি প্রমাণিত হয় যে অর্জুন চৌরাসিয়া আত্মহত্যা করেছিলেন, তাহলে কী ময়না তদন্ত করা আধিকারিকের চাকরি থাকবে?’ উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে কাশীপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বিজেপির যুব কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহ। এই ঘটনার পর এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।