উত্তর কলকাতার চিৎপুর সেতু ভেঙে নতুন সেতু তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে এনিয়ে দরপত্র চূড়ান্ত হওয়ার পথে। তবে এরইমধ্যে এই সেতু ভাঙা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। কারণ চিৎপুর সেতু সংলগ্ন স্থানে প্রায় ৮০টি পরিবার রয়েছে। এইসব পরিবারের পুনর্বাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেতু ভাঙা থেকে নতুন সেতু চালু হওয়া পর্যন্ত ওই পরিবারদের পুনর্বাসন নিয়ে ইতিমধ্যেই রেলের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত রেলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তা নিয়ে চিন্তিত রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, ১৯৩৪ সালে তৈরি হয়েছিল চিৎপুর সেতু। তবে ২০১৮ সালে মাঝেরহাটের সেতু বিপর্যয়ের পরেই রাজ্যের বিভিন্ন সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাতে টালা এবং চিৎপুর সেতু ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথমে টালা সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয় এবং গত বছরে পুজোর মুখে সেই সেতু উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই সিদ্ধান্ত হয় নতুন বছরে চিৎপুর সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। সেই মর্মে কলকাতা পুরসভার মেয়র-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন। তাতে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সেতুর কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাশাপাশি, বৈঠকে ৮০টি পরিবারের পুনর্বাসন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। চিৎপুর সেতুর পাশেই রেলের একটি জমি রয়েছে। সেখানেই তাদের পুনর্বাসনের জন্য রেলের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য। প্রয়োজনে রেলকে এর জন্য বার্ষিক ভাড়া দিতেও প্রস্তুত রাজ্য সরকার। তবে এখনও রেলের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর না আসায় উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। ফলে সেতুর কাজ শুরু হওয়া নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। এদিকে যান চলাচলের বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। কারণ প্রতিদিন চিৎপুর সেতু হয়ে প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই সেতু বন্ধ থাকলে যানজট দেখা দিতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে কীভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে সে বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। এদিকে, চিৎপুর সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পরে আরজি কর সেতুর সংস্কারে হাত দেবে রাজ্য।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup