বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব থেকে লক্ষাধিক টাকার যন্ত্রাংশ চুরি

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব থেকে লক্ষাধিক টাকার যন্ত্রাংশ চুরি

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (ফাইল ছবি)

বুধবার সকালে ঘটনাটি নজরে আসে বিভাগীয় প্রধানদের। ওই ল্যাবে প্রবেশের সময় ল্যাবের গেট তালা খোলা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। ভিতরে ঢুকতেই তাঁরা দেখেন, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ উধাও হয়ে গিয়েছে। 

বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব থেকে লক্ষাধিক টাকার যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে। বুধবার সকালে ঘটনাটি নজরে আসে বিভাগীয় প্রধানদের। ওই ল্যাবে প্রবেশের সময় ল্যাবের গেট তালা খোলা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। ভিতরে ঢুকতেই তাঁরা দেখেন, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ উধাও হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ল্যাবের প্রায় ৭০ শতাংশ যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে। যার বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়।

এদিন প্রত্যেক্ষদর্শী বিভাগীয় প্রধানরা জানিয়েছেন, তাঁরা ল্যাবের ভিতরে ঢুকে দেখতে পান অধিকাংশ যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে। বাকি কিছু যন্ত্রাংশ একপাশে গুছিয়ে রাখা রয়েছে। সম্ভবত পরে সেগুলিও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় ছিল চোরেদের।

উল্লেখ্য, অতিমারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইনে ক্লাস হওয়ায়, অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার অত্যন্ত কম। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী চুরি হয়ে গেল। প্রশ্ন উঠছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে এই চুরি হল?

 

অধ্যাপকেরা জানিয়েছেন, এমন কিছু যন্ত্রাংশ চুরি গিয়েছে, যা ল্যাবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনার খবর পেতেই তৎপর হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‌গতকাল এই খবর পেয়েই বিভাগীয় প্রধানকে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার কথা বলি। সেই চিঠি পেয়েই থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‌এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশের রিপোর্ট পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’‌

প্রসঙ্গত, এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ থেকেও বেশ কিছু জিনিস চুরি গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মেহগনি গাছ চুরি যাওয়ার অভিযোগও উঠেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার তরফে নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় বলেন, ‘‌এর আগে বাংলা বিভাগেও চুরি হয়েছে। অনেক অধ্যাপকেরই আশঙ্কা ভিতরের কেউ এই চুরিতে সাহায্য করছেন।’‌

 

বন্ধ করুন