২ দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে নিজেকে প্রত্যয়ী দেখানোর চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি দাবি করেন, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। সঙ্গে তাঁর দাবি, বাংলায় তোষণের রাজনীতি চলছে। একই আইনের তিন রকম ব্যাখ্যা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।
প্রত্যাশিতভাবেই এদিন শাহের নিশানায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস। শাহ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে প্রশাসনিক অবক্ষয়ের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। উনি প্রশাসনের সম্পূর্ণ রাজনীতিকরণ করেছেন। রাজনীতির অপরাধীকরণ করেছেন। আর দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। সম্ভবত আর কোনও রাজ্যে তিনটি জিনিস একসঙ্গে ঘটেনি। এর মধ্যে একটাও কোথাও ঘটে থাকলে রাজ্যের পতনের জন্য তা দায়ী থাকত। এখানে তিনটে জিনিই মমতাদি খুব সফল ভাবে চালু করেছেন। করোনা ও আমফানের ত্রাণেও তৃণমূল দুর্নীতি করতে ছাড়েনি’।
শাহের দাবি, ‘তোষণের ফলে বাংলার বিপুল অংশের জনগণের মনে তাঁরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক কি না সেই প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে। তোষণ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বাংলায় তিন রকমের আইন চালু হয়েছে। এক ধরণের আইন নিজের ভাইপোর জন্য। আরেক ধরণের আইন ভোটব্যাঙ্কের জন্য। আর সাধারণ মানুষের জন্য আলাদা’।
এদিন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের কাছে অমিত শাহ আহ্বান করেন, ‘আপনারা কংগ্রেস, কমিউনিস্ট ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার সুযোগ দিয়েছেন বিজেপিকে একবার সুযোগ দিন। ৫ বছরে সোনার বাংলা গড়ে দেখাবো। আমাদের লক্ষ্য খুব নির্দিষ্ট, বাংলায় বিকাশ হোক। সীমান্ত সুরক্ষিত হোক। বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ হোক। দিদির একমাত্র লক্ষ্য আগামী বার ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো। এবার বাংলার মানুষকে ঠিক করতে হবে তারা পরিবারবাদ চান না বিকাশবাদ’।