বিমানবন্দরগামী মেট্রোর কাজে বড় জট বাইপাসে। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর কাজের জন্য রাস্তা কিছুটা বন্ধ রাখতে হবে। আর ব্যস্ততম রাস্তা বন্ধ করে কাজ করার ক্ষেত্রে অনুমতির বড় সমস্য়া দেখা গিয়েছে বলে খবর। আসলে মূল সমস্যাটা বাইপাসে। চিংড়িঘাটার কাছে গার্ডার উত্তোলন করতে হবে। এজন্য় অনুমতি লাগবে। কারণ গার্ডার উত্তোলন করতে গেলে রাস্তা বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু সেই অনুমতি মেলেনি বলে খবর।
আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে তিন দফায় আবেদন জানিয়েও চিংড়িঘাটার কাছে রাস্তা বন্ধ করে গার্ডার উত্তোলনের অনুমতি না মেলার জেরে থমকে যেতে বসেছে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর কাজ। এনিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের অভিযোগ কলকাতা পুরসভা ও ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করার পরেও শেষ মুহূর্তে অনুমতি দিতে পিছিয়ে আসছে কলকাতা পুলিশ।
অনুমতি মেলেনি। এর জেরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই মেট্রোর রুবি থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত অংশের সম্প্রাসরণের কাজ প্রায় এক বছর ধরে থমকে আছে। মেট্রো সূত্রে খবর, চিংড়িঘাটা মোড়ের কাছে ওই মেট্রো পথের ৩১৭, ৩১৮ ও ৩১৯ নম্বর পিলারের গার্ডার উত্তোজনের কাজ করা যায়নি। এর জেরে প্রায় ৩৬৬ মিটার অংশের সংযুক্তির কাজ করা যাচ্ছে না।
মেট্রোর দাবি, দু দফায় মোট ৬ রাত রাস্তা বন্ধ রেখে কাজ করতে হবে। তবে ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, চিংড়িঘাটা মোড়ের প্রস্তাবিত অংশটি একাধিক রাস্তার সংযোগস্থল। ওই অংশে রাস্তা বন্ধ থাকলে শহরের যান বাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখেই অনুমতি দেওয়া হবে।
এদিকে এই রুটেরই এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় মেট্রোর নানা কাজ চলছে। আশায় বুক বাঁধছেন অনেকেই। ধাপে ধাপে রূপ পাচ্ছে এই রুটের মেট্রো পথের।
অন্যদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, এবারের বাজেটে একধাক্কায় ৫৩.৫ শতাংশের মতো বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোয়। ২০২৪-২৫ সালের বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১,৭৯১.৩৯ কোটি টাকা। সংশোধন করে সেটা ১,৫৫০ কোটি টাকা করা হয়। আর ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে সেটা একেবারে কমিয়ে ৭২০.৭২ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। যে অংশের নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত আপাতত মেট্রো পরিষেবা চালু আছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দমদম বিমানবন্দর-নিউ গড়িয়া ভায়া রাজারহাট মেট্রো রুটের জন্য মাত্র ৭২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর আগের বার ওই প্রকল্পে সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৫৫০ কোটি টাকা।