রাজ্যপালের ভাষণে ছিল না ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কোনও কথা। এব্যাপারে বক্তব্যে একটিও অনুচ্ছেদ থাকলে ভাষণের বিরোধিতা করত না বিজেপি। নবগঠিত রাজ্য বিধানসভার প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন বিধানসভায় বিক্ষোভের ঝড় তোলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথাই বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁকে যে ভাষণ লিখে দেওয়া হয়েছিল তাতে ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে কোনও কথা ছিল না। এতে ভ্যাকসিন দুর্নীতির কোনও কথা নেই। তাই আমরা ভাষণের বিরোধিতা করি। রাজ্যপালের ভাষণ ক্যাবিনেট পাশ করে। ফলে এতে রাজ্যপালের কোনও দায় নেই।’
এদিন শুভেন্দুবাবু জানান, এদিনের অধিবেশক বয়কট করেননি তাঁরা। তাঁর কথায়, আমরা অধিবেশন বয়কট করিনি। আমরা রাজ্যপালের পিছন পিছন বেরিয়েছি।
বিরোধী দলনেতা বলেন, রাজ্যে ২ মে পর থেকে ভোট পরবর্তী হিংসায় বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আমরা তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চেয়েছিলাম। কিন্তু তার সুযোগ মেলেনি। ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনার আবেদনও খারিজ করেছে সরকার। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, হাতে গোনা ৫ দিনের অধিবেশন ডেকেছে সরকার। বিধানসভা অধিবেশনে কোনও রণনীতি ঠিক করে এগোবে না বিজেপি। রোজের ইস্যু রোজ ঠিক করবে তারা।
শুক্রবার ছিল রাজ্য বিধানসভার প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন। এদিন বেলা ১.৫০ মিনিটে বিধানসভায় পৌঁছন রাজ্যপাল। বাবাসাহেব আম্মেদকরের মূর্তিতে মালা দিয়ে বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করেন তিনি। এদিন রাজ্যপাল তাঁর ভাষণ পড়া শুরু করতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি বিধায়কদের তুমুল বিক্ষোভে ৪ মিনিটের মধ্যেই ভাষণ পড়া বন্ধ করে বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল।