রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য একের পর এক নিশানা করেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের। এই আন্দোলনের পেছনে রাজনীতির খেলা আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন খোদ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে এবার তার জবাবও দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে কিঞ্জল নন্দ জানিয়েছেন, এই আন্দোলনে রাজনীতির কোনও রঙ নেই। অন্যান্য জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক।
এত হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামছেন। রোদে পুড়ে, জলে ভিজে এত মানুষ রাস্তায় নামছেন। আমরা চাইছি মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে সদর্থক আলোচনা। আমরা চাইছি মিডিয়ার সামনে সদর্থক আলোচনা। নবান্নের আলোচনায় আমাদের কোনও আপত্তি নেই। জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
সেই সঙ্গেই মন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন কেন ভোর ৩টে ৪৫ মিনিটে সিএমওতে মেল করা হল?
সেই প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, আরজি করের ঘটনার পরে তাঁদের কাছে রাত দিন বলে আলাদা কিছু নেই। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই এই মেল পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
এদিকে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আগেই দাবি করেছিলেন আমরা প্রশ্ন করতে চাই ভোর ৩টে ৪৫ মিনিটে কেন সিএমওতে মেল পাঠানো হল? এটা কি খুব স্বাভাবিক? নিশ্চয় নয়। তাহলে কি এর পেছেনে রাজনীতি লুকিয়ে আছে?
এর জবাবে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, আমরা এভাবে আন্দোলন করতে আসিনি। ৯টায় এলাম আর সাড়ে ৯টায় ডিনার করে শুয়ে পড়লাম। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই চিঠি পাঠানো হয়েছে দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের।
যে বিষয়গুলি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তা হল…
১) জাস্টিস ফর অভয়া- এটা রাজ্য সরকারে ব্যাপার নয়, তবে আমরা চাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিবিআই, সুপ্রিম কোর্ট তদন্তকে যেন এগিয়ে নিয়ে যায় ও দেরি না করে দোষীদের যেন শাস্তি দেয়।
২) ডিএমই, ডিএইচএস ও স্বাস্থ্যসচিবকে অপসারণ করতে হবে। কারণ সেমিনার রুমের পাশের রুম ভাঙার ক্ষেত্রে তাঁদেরই সই ছিল। আমরা মনে করি গোটা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে দুর্নীতিতে তাঁরাও জড়িত।
৩) বিনীত গোয়েলকে অপসারণ( রিমুভাল) হবে। তিনি কলকাতার পুলিশ কমিশনার। ডিসি নর্থ ও ডিসি নর্থের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪) সমস্ত হাসপাতাল ও সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপযুক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত জুনিয়র ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মী বিশেষত মহিলা হেলথ কেয়ার ওয়ার্কার্সদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৫) সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় থ্রেট কালচারের অবসান ঘটাতে হবে। মেডিক্যাল পড়ুয়া, জুনিয়র ডাক্তার ও ডাক্তারদের গণতান্ত্রিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।