অচলাবস্থার অবসান চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখলেন আরজি কর মেডিক্যালের নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুক্রবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে এব্যাপারে তাঁর হস্তক্ষেপ করেছেন আন্দোলনকারীরা। চিঠির প্রতিলিপি উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট তৎপর নয় রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন - শৌচালয়ের দেখভালও করতে পারে না! পূর্ত দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত
পড়তে থাকুন - মালদায় কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তার, ৯ দিনেই চার্জশিট দিল পুলিশ
কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে আদালতের নির্দেশের পরও বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে চিকিৎসকদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। তার পর দিনই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। রাষ্ট্রপতিকে তাঁরা জানিয়েছেন, অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী নয় রাজ্য সরকার। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিতে কোনও সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না তারা। হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তদন্তকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে যে সব সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তাদের পদ থেকে অপসারণের দাবিও মেনে নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের কোনও তৎপরতা নেই। যার ফলে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।
রাষ্ট্রপতিকে চিকিৎসকদের চিঠি প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এব্যাপারে রাষ্ট্রপতি বা কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু করার নেই। যা করার রাজ্যকেই করতে হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। তবে চিকিৎসকদের সব জায়গায় সুবিচার চাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই তারা চিঠি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন - ‘ইহা পে আরজি কর হো জায়েগা’, বেসরকারি হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে হুমকি
ওদিকে শুক্রবার চতুর্থ দিনে পড়েছে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অবস্থান। এদিনও প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিধাননগরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মাঝে মাঝেই সুবিচারের দাবিতে উঠছে স্লোগান। ওদিকে আলোচনার রাস্তা এখনও খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে নবান্ন। তবে মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে হাজির থাকবেন কি না সেব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।