চিঠি-পালটা চিঠি চলছে। দুপক্ষই কার্যত অনড়। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাভাবিকভাবেই বেশ কয়েকটি দাবির কথা জানিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই দাবির উপরেই তাঁরা আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। তবে এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে আহ্বান করলেন খোলা মনে আলোচনায় আসুন। তবে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বৈঠকে অন্তত ৩০জনকে থাকতে দিতে হবে।
একপাশে মুখ্য়সচিব আর অপর পাশে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পাশে নিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বললেন, ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা তার নিন্দা করি। অপরাধীদের শাস্তি হোক। রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ হয়েছে। আজ একটা খোলা মনে আলোচনা। গতকাল থেকে আলোচনা নিয়ে একটা টানাটানি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ দেখছেন। যেটা আমরা বলছি এটা রোগী পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্র। গরিব মানুষ যাতে রোগী পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন সেকারণে অনুরোধ করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার ৫টার মধ্যে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আমরা গতকাল ৫টা পর্যন্ত বলেছি। আমরা বিশ্বাস রাখছিলাম তারা মান্যতা দেবেন। সবাইকে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মানতে হবে। আমরা ভেবেছিলাম ওরা তুলে নেবেন। …মাননীয়া মুখ্য়মন্ত্রী অপেক্ষা করছিলেন। ৬টা ১০এ মেল গিয়েছিল। সেই মেল যাওয়ার পরেও নানা কথা বলে কেউ আসলেন না। সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মাননীয়া মুখ্য়মন্ত্রী বসেছিলেন। অর্থাৎ তিনি খোলা মন নিয়ে আলোচনার জন্য বসেছিলেন। সেই মেলকে কেন্দ্র করে একটা মেল এল ভোর তিনটে পয়তাল্লিশ। আমরা প্রশ্ন করতে চাই সিএমওতে তিনটে পয়তাল্লিশে মেল আসা এটা কি স্বাভাবিক? তাহলে কি এর পেছনে রাজনীতি আছে? রাজনীতি আছে বলেই এই ধরনের ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। ….৬টা আসার কথা বলা হল ১২-১৫জন প্রতিনধিকে। সেই মেলের উত্তর এল পরে শর্ত দিয়ে। লাইভ টেলিকাস্ট হবে, মুখ্য়মন্ত্রীকে থাকতে হবে। জনসাধারণকে পরিস্কার করে বলতে চাই, সরকার খোলা মনে বসতে চাইছে। শর্ত দিয়ে খোলা মন চলে না। খোলা মন নেই। সেই মেয়েটি বিচার পাক আসলে ব্যাপারটা তা নয়। রাজনীতির খেলা আছে। সেকারণে এতটা সময় লাগছে এত চিন্তাভাবনা করতে। আলটিমেট লক্ষ হল খোলামনে আলোচনা চায় না। উচ্চ পর্যায়ের অফিসাররা রয়েছেন তাতেও শর্ত। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারকে মান্যতা দেব। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নেগেটিভ গ্রহণ করেনি। মান্যতা দিতে হবে।' বললেন চন্দ্রিমা।