আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত টানা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আদালতে পেশ করল সিবিআই। তিন দিনের সিবিআই হেফাজত শেষে মঙ্গলবার ২ জনকে শিয়ালদা আদালতে পেশ করেন তদন্তকারীরা। এদিন আদালতে সিবিআই দাবি করেছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে তদন্ত বিপথে চালনা করে থাকতে পারেন অভিযুক্তরা। তাই তাদের আরও জেরা করা প্রয়োজন। কিন্তু ধৃতরা তদন্তে সহযোগিতা করছে না।
আরও পড়ুন - জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরতেই বহিষ্কৃত নেতাকে মালা পরিয়ে উৎসবে মাতলেন TMC কর্মীরা
পড়তে থাকুন - ভারতে এসে ফেসবুকে ভারত ভাগের হুমকি, ঘাড় ধরে বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মোদী সরকার
মঙ্গলবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে শিয়ালদা আদালতে পেশ করে সিবিআই। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, তদন্তে বেশ কয়েকটি ফোন নম্বর উঠে এসেছে। সেই ফোন নম্বরের সূত্রে ২ জনকে বেশ কিছু জেরা করা প্রয়োজন। সিসিটিভি ফুজেটের সূত্র ধরেও তাদের জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। কিন্তু অভিযুক্তরা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তাই তাদের আরও ৩ দিনের জন্য হেফাজতে প্রয়োজন।
সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও বলেন, সম্ভবত সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই টালা থানার ওসি দেরিতে FIR দায়ের করেছিলেন। আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল তাদের মধ্যে। একথা শুনে আদালত বলে, ‘ঘটনার আগেই ষড়যন্ত্র হয়ে থাকলে সেটা অত্যন্ত উদ্বেগের।’
পালটা সওয়ালে অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, অভিজিৎবাবু তদন্তে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। তিনি সহযোগিতা করেছেন মাত্র। তাছাড়া সিবিআই যতবার ডেকেছে তিনি হাজিরা দিয়েছেন। এখন তাঁকে জেরা করার নামে অযথা আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - ‘হাততালি দিয়ে ডিস্কো ড্যান্স করে আন্দোলন হয় না’, কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের
আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু ঘটনায় গত শনিবার সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই।