গাফিলতি ছিল। স্যালাইন কাণ্ডে মেনে নিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট আসার পরে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এই নিয়ে তদন্ত করে দেখা হয়। আগামী দিনে যাতে না হয় সেটা দেখার জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। সব ব্যাচের টেস্টিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ড্রাগ ব্যবহার করা যাবে না যার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। নমুনা পজিটিভ এলেই তারপর ব্যবহার করা যায়। এগুলির নমুনাও পাঠানো হয়েছে। আমরা কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করব না। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের পরে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নীচে থেকে ওপর পর্যন্ত যারা জড়িত তাদের সবার বিষয়টি চলে আসবে তদন্তে। প্রশাসনিক তদন্ত ও সিআইডি তদন্ত দুটোই করা হচ্ছে। অ্যাকশন নেওয়া হবে। কেন মুচলেকা লেখানো হয়েছে সেটা দেখা হবে। সেটা তদন্ত করে দেখা হবে। আমরা
এবার প্রশ্ন স্যালাইনের জন্য নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু?
মুখ্যসচিব বলেন, সেটাও দেখা হবে। স্যালাইন নাকি সার্জারির কারণে কী কারণে মৃত্যু সেটা দেখা হবে। দুদিনের মধ্য়ে প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়েছি। তিনদিনের মধ্য়ে বিস্তারিত রিপোর্ট আসবে প্রশাসনিক তরফে। সিআইডিও দ্রুত রিপোর্ট দেবে আশা করছি।
মুখ্য়সচিব বলেন, এই স্যালাইন হয়তো অন্য জায়গায়তেও দেওয়া হয়েছে। সব জিনিস তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে। সিআইডি সমস্ত দিকটি খতিয়ে দেখবে। আগে তদন্ত শেষ করতে দিন। তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্যালাইন কাণ্ডের জেরে শোরগোল পড়েছে গোটা রাজ্যে। ইতিমধ্য়েই একাধিক রাজনৈতিক দল এনিয়ে আন্দোলনে নেমেছে।
প্রসঙ্গত বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকা পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই ঘটনার দুই দিন পর মামনি রুইদাস (২২) নামে এক প্রসূতি মারা যান। এরমধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলেও তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের আপাতত এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
জানা যায়, অসুস্থ প্রসূতিদের কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্যালাাইন দেওয়ার পরেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাকি অন্য় কোনও কারণ সেটা দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সামনে আসতেই ঘটনার তদন্তের জন্য ১৩ সদস্যের একটি একটি কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে শুধু স্যালাইনের সমস্যা নয়, একটি বিশেষ ইঞ্জেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রটোকল মানা হয়নি। হিউম্যান এরেরর কথা বলা হয়েছে।
এদিকে জুনিয়র চিকিৎসকরা কতটা সিনিয়রদের তত্ত্ববধানে সেদিন কাজ করেছিলেন সেটাও দেখা হচ্ছে।