বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতে মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারে নির্বাচনী সভায় তৃণমূল নেত্রী বিজেপিকে নিশানা করে জানান, ওরা এখানে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল। মূর্তি ভাঙার তীব্র নিন্দা করি। বিদ্যাসাগরের কর্মসূচি কিন্তু আমরাই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
ভবানীপুরে উপনির্বাচনের শেষ লগ্নে এসে নির্বাচনী জনসভায় বিদ্যাসাগরের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন তিনি জানান, ‘আজ বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মদিন। বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ চালু করতে কতকিছু করেছেন। মেয়েদের পড়াশোনা চালু করেছেন। আমরা কিন্তু সেই কর্মসূচিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’ পাশাপাশি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করলেন তৃণমূল নেত্রী। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০১৯ সালের ১৪ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের রোড শোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ স্ট্রিট চত্বর। সেদিন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। ওই ঘটনার দুই বছর পর সেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন তৃণমূল নেত্রী।
যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলকে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, ‘বিজেপি ভাঙা নয়, গড়ায় বিশ্বাস করে। আজকের দিনটা আমাদের কাছে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।’ পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী জানেনই না আজ বিদ্যাসাগরের ২০১ তম জন্মদিন। এটাই বাংলার দুর্ভাগ্য। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপিকে ছেড়ে কথা বলেননি বাম ও কংগ্রেসরাও। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানান, বিদ্যাসাগরকে নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। সেকাজে কারো অংশগ্রহণ করা ঠিক নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি তা করে থাকেন, তাহলে ভুল করেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, ‘বিদ্যাসাগরকে অপমান করার অধিকার দুপয়সার সাম্প্রদায়িক নেতাদের নেই। অমিত শাহ যদি বিদ্যাসাগরকে অপমান করতে চান, তাহলে বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না।’