ওরা বিচার চায় না চেয়ার চায়। জানিয়ে দিলেন মমতা। কার্যত জুনিয়র ডাক্তারদের নিশানা করে নরমে গরমে সব অস্ত্রই প্রয়োগ করা হল এদিন। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা মেরুদণ্ড টান টান করে জানিয়ে দিলেন আমরা চেয়ার চাইতে আসিনি। এটা কোনও ইগোর ব্যাপার নয়।
চেয়ার ছাড়া নিয়ে কী বলেছিলেন মমতা?
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যাঁরা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না তাঁদের আমি ক্ষমা করলাম। আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমার সরকারকে অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবোঝি কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রঙ বোঝেনি। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু এরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়। আশা করি মানুষ এটা বুঝবেন।
এখানেই শেষ নয়, এদিন কি জুনিয়র ডাক্তারদের নবান্নে ডেকে নিয়ে এসে ডিভাইড অ্যান্ড রুলের পথ ধরার চেষ্টা করছিল সরকার? আন্দোলন ভাঙার জন্য কি ডাক্তারদের মধ্য়ে ফাটল ধরানোর চেষ্টা হয়েছিল?
মমতা বলেন, অনেকে আলোচনা করতে আগ্রহী ছিলেন। দু তিনটে গ্রুপ, বলব না দুতিনজন। তারা বলছে মিটিংয়ে যাবে না। সমঝোতা করবে না। বাইরে থেকে ওদের কাছে নির্দেশ আসছে। আমি মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। ডাক্তারদের অনুরোধ করছি। কাজে ফিরুন।
সেই সঙ্গেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ে তাঁর আপত্তির কথাও জানান তিনি। সবটাই যদি টেলিকাস্ট করি সুপ্রিম কোর্টের কেস নিয়ে সেখানে কেউ যদি ফট করে কিছু বলে… আর কার্যত এই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের প্রশ্নেই ভেস্তে গেল এদিনের মিটিং। জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, আমরা সাবজুডিশ ম্যাটার নিয়ে আলোচনা করতে আসিনি।
সেই সঙ্গেই জুনিয়র ডাক্তাররা বার বার বলছেন আমরা চেয়ারের কথা বলছি না। ‘আমরাই খোলা মনে গিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের বিচার হয় লাইভ স্ট্রিমিংয়ে। ২০১৯ সালে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিং হয়েছিল। এবার কেন নয়? ’
মমতা বলেন, ' নবান্নের গেট থেকেও যাঁরা এলেন না, তাঁদের ক্ষমা করলাম... আমি সাধ্যমত চেষ্টা করলাম। তাঁদের কাছে আমার আবেদন থাকবে কাজে যোগদান করুন। '‘ আমরা প্রথম দিন থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি, উই ট্রায়েড আওয়ার বেস্ট।’ হাত জোর করে ক্যামেরার সামনে মমতা বলেন,' এরপর আশা করি জনগণ আমায় ক্ষমা করবেন।' আমাদের নামে অনেক.. আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমাদের সরকারকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। অনেক কুৎসা অপপ্রচার হয়েছে। যাঁরা সাধারণ মানুষ জানতেন না যে এরমধ্যে একটা কালার আছে। মানুষ এসেছিলেন বিচার চাইতে তিলোত্তমার..। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক।