তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। দাবি, পরিকল্পিত ভাবে দলের ও সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন তিনি। এমনকী এই নিয়ে অস্বস্তি এড়াতে শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ পেলে সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির থাকার পরামর্শ দিয়েছে তৃণমূল। এরই মধ্যে মেদিনীপুর জুড়ে ‘সমাজসেবী শুভেন্দু অধিকারী’-র নামে পোস্টার পড়েছে। তা শুনে দিলীপ ঘোষ বলেন, সবার জন্য আমাদের দরজা খোলা। উনি কী করবেন সেটা ওনাকে ঠিক করতে হবে।
সম্প্রতি মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ‘সমাজসেবী শুভেন্দু অধিকারী’-র নামে পোস্টার দেখা গিয়েছে। তাতে তৃণমূলের নাম তো দূরের কথা প্রতীকও নেই। এর পরই শুভেন্দুর দলবদল নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকেরই প্রশ্ন, দিন কি তাহলে এসে গিয়েছে?
যদিও পোস্টারের সঙ্গে শুভেন্দুর দলবদলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, ‘সমর্থকরা অনেক সময় ওরকম পোস্টার লাগান, স্লোগান দেন। আমাকে নিয়েও খড়গপুরে নানা রকম স্লোগান দেওয়া হয়।’
শুভেন্দু কি বিজেপিতে আসছেন? সরাসরি জবাব না দিলেও সম্ভাবনা যে রয়েছে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দরজা সবার জন্য খোলা। উনি কী করবেন সেটা ওকেই ঠিক করতে হবে।’
বলে রাখি, সাম্প্রতিক সাংগঠনিক রদবদলে দল পরিচালনার জন্য যে শীর্ষ কমিটি তৈরি করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার অন্যতম সদস্য করেছেন শুভেন্দুকে। তবে কমিটির প্রথম বৈঠকেই তৃণমূল ভবনে দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, তৃণমূলের সঙ্গে পরিকল্পনা মাফিক দূরত্ব বাড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দায়িত্বে থাকা পরিবহণ মন্ত্রকের কাজও এখন দেখভাল করছেন দফতরের সচিব ও মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের প্রতীক ছাড়া শুভেন্দুর পোস্টার সেই দিশাতেই আরেক ধাপ।