একুশের শহিদ দিবসের মঞ্চে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে অবশ্য সেটা হয়নি। তবে শোভন–বৈশাখী যদি ফের তৃণমূলে যোগদান করেন, তাহলে সেটা কি মেনে নিতে পারবেন রত্না চট্টোপাধ্যায়? এই প্রসঙ্গে তাঁর মত, ‘শোভন বৈশাখী যদি তৃণমূলে ফের যোগদান করেও তাহলে সেটা হবে আমার নৈতিক জয়।’
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘আমাকে এক ঘরে করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আমাকে দুমড়ে মুছড়ে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমি কাউন্সিলার হয়েছি। বিধায়ক হয়েছি। শোভন–বৈশাখী যদি তৃণমূলে আসে, আজ সেই দলে তাঁদের মাথা নীচু করে আসতে হবে। ফলে তাঁদের তৃণমূলে ফেরত আসাটা আমার কাছে বড় জয়। এটা আমার কাছে একটা নৈতিক জয়।’ তবে তিনি বুঝিয়ে দেন, মন থেকে ব্যাপারটি যে তিনি মেনে নিচ্ছেন, বিষয়টি তেমন নয়। তবে রাজনৈতিক প্রয়োজনে বা দলের স্বার্থে শোভন–বৈশাখীর সঙ্গে এক মঞ্চে বসতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই সিদ্ধান্তই তাঁকে সম্মান জানিয়ে মেনে নেব।
কিছুদিন আগেই নবান্নে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান শোভন ও বৈশাখী। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয়। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরোনোর পর রাজনৈতিক মহলে একটা জল্পনা তৈরি হয়, তাহলে কি তৃণমূলে ফের ফিরতে চলেছেন দুজনে। ফিরলেও কবে ফিরতে পারেন? সেই সঙ্গে অবশ্য আরেকটি প্রশ্ন উঠে আসছিল, শোভন, বৈশাখী যদি তৃণমূলে ফিরে আসেন, তাহলে সেটা কি মেনে নেবেন রত্না চট্টোপাধ্যায়?