প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক তথ্য় সামনে আসতে শুরু করেছে। এবার একাধিক প্রভাবশালীর নাম সামনে আসছে। যাঁরা প্রাথমিকে চাকরির জন্য একাধিক নাম সুপারিশ করেছিলেন বলে নথি দেখিয়ে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এবার বিস্ফোরক তথ্য় সামনে এল। এতদিন বলা হত কেবলমাত্র শাসকদলের নেতারাই নাকি প্রাথমিকে চাকরির ক্ষেত্রে সুপারিশ করেছিলেন। তবে এবার সিবিআইয়ের নথিতে দেখা যাচ্ছে কেবলমাত্র তৃণমূলের নেতারা নন, বিজেপির বর্তমান নেতাও সুপারিশ করেছিলেন।
এবিপি আনন্দের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সিবিআই যে নথি পেয়েছে তাতে সুপারিশকারী হিসাবে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম তমলুকের তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি একাধিক নাম পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
সেই সঙ্গেই নাম রয়েছে বনগাঁর তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুরের । তিনিও ২০টি নাম পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে নথিতে। সেই সঙ্গে এক প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের নামও রয়েছে সুপারিশকারী তালিকায়। তবে তিনি আবার বর্তমানে বিজেপির নেত্রী। তিনি অবশ্য যখন সেই নাম পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই সময় তিনি পুলিশে ছিলেন।তবে তিনি এই ধরনের চাকরির জন্য নাম সুপারিশের বিষয়টি একেবারে মানতে চাননি। অন্যদিকে দিব্যেন্দু অধিকারী সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, চার্জশিট না দেখে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।
অন্যদিকে মমতা ঠাকুর ওই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই ধরনের কাজ আমি করিনি। এমন কিছু করিনি। পুরোটাই চক্রান্ত। অন্য়ায় কাজে যুক্ত নই। সামনেই ভোট আমি চাইছি এটা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। আমি করিনি কখনও।
কার্যত তদন্ত যত এগিয়েছে ততই নতুন একাধিক তথ্য় সামনে আসতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, বিকাশ ভবনের স্টোররুমে তল্লাশি চালিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছিল। আর সেই নথিতেই উঠে এসেছে একাধিক নাম। সেখানেই তালিকায় একের পর এক নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ৩২৪ জনের নামে সুপারিশ হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। তার মধ্য়ে চাকরি পেয়েছেন ১৩৪জনের। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।তবে যাঁদের নাম রয়েছে বাস্তবের সঙ্গে তাঁদের কোনও মিল রয়েছে কি না সেটা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যে সময় এই ধরনের সুপারিশ করা হয়েছিল সেই সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তৃণমূলের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেই খবর। তার জেরেই কি নাম সুপারিশ করা হয়েছিল?
তবে সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে তাঁদের মধ্য়ে অন্তত দুজন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একের পর এক প্রভাবশালীদের নাম রয়েছে চার্জশিটে। এবার সেই প্রভাবশালীদের সিবিআই ডেকে পাঠায় কি না সেটাই এখন দেখার।