বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Adenovirus: অ্যাডিনোভাইরাসের দাপটে কাঁপছে শহর, একইদিনে কলকাতা তিন শিশুর মৃত্যু

Adenovirus: অ্যাডিনোভাইরাসের দাপটে কাঁপছে শহর, একইদিনে কলকাতা তিন শিশুর মৃত্যু

জ্বর ও শ্বাসকষ্টে নিয়ে কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। (Freepik)

শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত কলকাতার দুই হাসপাতালে মৃত্যু হল তিনটি শিশুর। এদের মধ্যে দু’জনের বয়স একবছর বয়স পার হয়নি। তবে আর এক শিশুর বয়স দেড় বছর। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে নিয়ে ইতিমধ্যেই কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই রাজ্যে। সেখানে আবার এমন ঘটনা আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে। 

অ্যাডিনোভাইরাস দেখা দিয়েছে কলকাতা শহরে। বহু শিশু–কিশোর তাতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। জ্বর–শ্বাসকষ্ট হলেই আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে। এমনই জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত কলকাতার দুই হাসপাতালে মৃত্যু হল তিনটি শিশুর। এদের মধ্যে দু’জনের বয়স একবছর বয়স পার হয়নি। তবে আর এক শিশুর বয়স দেড় বছর। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে নিয়ে ইতিমধ্যেই কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই রাজ্যে। সেখানে আবার এমন ঘটনা আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে। সবার অ্যাডিনোভাইরাস হচ্ছে এমন নয়। তবে আতঙ্ক থাকছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের শিশু বাসিন্দা রাজশ্রী রায় (৯ মাস) জ্বর নিয়ে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার মাঝরাতে মৃত্যু হয় রাজশ্রীর। অ্যাডিনোভাইরাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে মৃত্যুর শংসাপত্রে। একই হাসপাতালে রবিবার মৃত্যু হয়েছে বাদুড়িয়ার আট মাসের শিশু শুভজিৎ মণ্ডলের। এক্ষেত্রে নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে কল্যাণীর দেড় বছরের শিশু রুদ্রিক সরকারের। জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে কল্যাণীর এইমস হাসপাতালে ভর্তি ছিল সে। অবস্থার অবনতি হলে ২১ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় রেফার করা হয়। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। সেপসিস এবং ব্রঙ্কো–নিউমোনিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

কী অবস্থা বি সি রায় শিশু হাসপাতালে?‌ সূত্রের খবর, বি সি রায় শিশু হাসপাতালের মূল ভবনে একটি শয্যাও এখন খালি নেই। তাই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সংলগ্ন বি সি রায়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌আতঙ্কিত হলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, বড়দের থেকেই বাচ্চারা সংক্রমিত হচ্ছে। বাইরে থেকে ফিরে বাচ্চাদের সংস্পর্শে যাওয়া উচিত নয়। জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত শিশুকে আইসোলেশনে রাখতে হবে।’‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন