বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Calcutta High Court: সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা, দ্রুত পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে আজ হাইকোর্টে তিন মন্ত্রী

Calcutta High Court: সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা, দ্রুত পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে আজ হাইকোর্টে তিন মন্ত্রী

কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

এই তালিকায় মোট ১৯ জন নেতা–মন্ত্রীর নাম রয়েছে। ২০১৭ সালের একটি জনস্বার্থ মামলায় গত ৮ অগস্ট ইডি–কে পার্টি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস ওই জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। ২০১১–২০১৬ সালের মধ্যে ওই সব নেতাদের সম্পত্তি কী করে বৃদ্ধি পেয়েছিল, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়।

সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ইডি–কে পার্টি করেছিল। সেই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের তিনি। কারণ তাঁদের নাম যিনি মামলা করেছেন তাঁর তালিকায় ছিল। যদিও শুধু শাসকদলের নয়, বিরোধী দলগুলির নেতা–নেত্রীদেরও নাম রয়েছে। এই মামলাটি পুরনো হলেও সম্প্রতি সেই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, বৃহস্পতিবার সেই তিন নেতা ওই মামলা দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ ইডি–কে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করেছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় এবং বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁদের আবেদন, এই মামলায় ইডি–কে পক্ষ করার নির্দেশ আদালত দ্রুত পুনর্বিবেচনা করুক। হলফনামায় বলা হয়েছে, রাজ্যে লোকায়ুক্ত আছে। তাই এই মামলার বিচার সেখানেই হওয়া উচিত। সেই নির্দেশ দেওয়া হোক।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইডি–কে পার্টি করা হবে কি না, সেটা লিখিত বক্তব্য পেলে তবেই বিবেচনা করা হবে। বিষয়টি তাঁরা বিবেচনা করবেন লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা পড়ার পর। এমনকী প্রধান বিচারপতি বক্তব্য লিখিতভাবে জমা দিতে নির্দেশও দেন।

উল্লেখ্য, এই তালিকায় মোট ১৯ জন নেতা–মন্ত্রীর নাম রয়েছে। ২০১৭ সালের একটি জনস্বার্থ মামলায় গত ৮ অগস্ট ইডি–কে পার্টি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস ওই জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। ২০১১–২০১৬ সালের মধ্যে ওই সব নেতাদের সম্পত্তি কী করে বৃদ্ধি পেয়েছিল, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়। তারপর একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য–ফিরহাদরা। সেখান থেকে বার্তা দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই চোর নয়।

বন্ধ করুন