স্যালাইন কান্ডে গুরুতর অসুস্থ তিন প্রসূতিকে নিয়ে আসা হল কলকাতায়। ভর্তি করা হল এসএসকেএমে। একেবারে গ্রিন করিডর করে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে নিয়ে আসা হল কলকাতায়। লাইফ সাপোর্টে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁদের। সাড়ে তিনঘণ্টার পথ অতিক্রম করে তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে।
সিসিইউতে দুজনকে ও আইটিইউতে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। তিনজনের মধ্যে দুজনকে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ক্রিটিকাল কেয়ার ও নেফ্রোলজির সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আধুনিক অ্য়াম্বুল্যান্সে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁদের।
প্রসূতিদের নির্দিষ্ট কেবিনে রাখা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখা হচ্ছে। দীর্ঘপথ অতিক্রম করে তাঁদের আনা হয়েছে। গ্রিন করিডর করে আনা হয়েছে। অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে গাড়ি চালিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে চিকিৎসকরা আগে থেকে প্রস্তুত ছিলেন। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কী কী দরকার সবটাই নজর রাখছিলেন তাঁরা।
এদিকে এক রোগিনীর পরিজন জানিয়েছেন, সারা শরীর ফুলে যাচ্ছে। পেটে ব্যাথা। বমিও হয়েছে। খুব অসুস্থ। চিকিৎসকরা বলেছেন সুস্থ হয়ে যাবে।
কার্যত আশায় আশায় রয়েছেন পরিজনরা।
এদিকে স্যালাইন কাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। তার মধ্য়েই নিয়ে আসা হল তিন প্রসূতিকে।
প্রসঙ্গত স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধিরা আগেই মেদিনীপুরে গিয়ে জানিয়েছিলেন যেখানে নেফ্রোলজি বিভাগ ভালো রয়েছে সেখানেই তাঁদের সরানো হোক। সেই অনুসারেই রবিবারের মিটিংয়েও ফের এনিয়ে আলোচনা হয়। তারপরেই তাঁদের মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় রোগীর পরিজনদের দাবি, কলকাতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে তাঁদের কিছু বলা হয়নি।
এদিকে মেদিনীপুরে তাঁদের ডায়ালিসিস করা হয়। এরপর নির্দিষ্ট গতিতে তাঁদের নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। প্রায় তিনঘণ্টায় গোটা পথ অতিক্রম করে রাত সাড়ে ১০টার কিছু আগে নিয়ে আসা হয় তিন প্রসূতিকে।
প্রসূতি মামনি রুইদাসের মৃত্যুর খবরে গোটা রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। মাতৃহারা হয়েছে সদ্যোজাত। তিন প্রসূতিও অসুস্থ ছিলেন। তাদের নিয়ে আসা হল কলকাতায়।
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে স্য়ালাইন থেকেই ওই প্রসূতিরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওই ধরনের বিশেষ স্যালাইন রক্তক্ষরণে রোধে ব্যবহার করা হয়। ইন্টারভেনাস ফ্লুইড। আর সেই আরএল এবার বিতর্কের কেন্দ্রে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফ্লুইড অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতার প্রয়োজন।
মৃত্যু ও অসুস্থতার সঙ্গে স্যালাইন ও একটি ইঞ্জেকশনের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।