কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানার ভিতরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ২ ব্যক্তির। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ১ জন। বৃহস্পতিবার বিলবোর্ড তৈরির সময় চিড়িয়াখানার হাতির খাঁচার সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার দায় এড়িয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, বেসরকারি সংস্থাকে বিলবোর্ড তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার পর বিলবোর্ড তৈরির কাজ স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ চিড়িয়াখানার হাতির খাঁচার সামনে বিলবোর্ড তৈরি করছিলেন বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ৩ জন। এদের মধ্যে তরিনী ঘোষ (৩১) ও প্রদীপ দাস (৪৫) নামে ২ ব্যক্তির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
রাজ্য জু অথরিটির সেক্রেটারি ভিকে যাদব জানিয়েছেন, ‘কাজ করার সময় বিদ্যুৎবাহী তার স্পর্শ করায় তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ১ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার তদন্তের জন্য কমিটি তৈরি করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।’
লিটন দাস (৩৭) নামে আহত এক যুবককে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রেখেছেন চিকিৎসকরা।
চিড়িয়াখানার বিজেপি পরিচালিত শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রাকেশ সিং জানিয়েছেন, ‘প্রথমে একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বাকিরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।’
লকডাউনের দিনে কেন চিড়িয়াখানার ভিতর বিলবোর্ড তৈরির কাজ চলছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিড়িয়াখানার ভিতরে ক্যাম্প করে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি বিলবোর্ড তৈরি করছিলেন। যেহেতু তাঁরা চিড়িয়াখানার ভিতরকে ক্যাম্প করে ছিলেন তাই লকডাউনের দিনে কাজ করতে কোনও বাধা নেই।
সুরক্ষাবিধি মেনে কাজ হচ্ছিল কি না এই প্রশ্নে উত্তরে জানানো হয়েছে, বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। তাই সুরক্ষাবিধি মানার দায় তাদেরই। সেক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি থাকলে বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।