বাংলাদেশে সরকারি উদ্যোগে হিন্দু নিপীড়নের বিরোধিতায় সেদেশের নাগরিকদের বয়কটের ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন তিনি। প্রশ্ন করেন, শুধু মুখে নয়, বাংলাদেশকে কার্য ক্ষেত্রেও কড়া উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে।
এদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় ভারতের পতাকা পেতে রাখা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমি প্রণাম করি ডাক্তার ইন্দ্রনীল সাহাকে। তিনি বলেছেন, আমার দেশ আগে, রোজগার পরে। ভারতীয় পতাকা পদদলিত হয়েছে। আমি বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসা করব না।’
শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন, ‘আমি গোটা ভারতবর্ষের ডাক্তার সমাজ, ব্যবসায়ী ও ভারতপ্রেমী সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশিদের বয়কট করার জন্য অনুরোধ করব। বাংলাদেশের মওলানা যদি বলতে পারে হিন্দু নাপিতদের কাছে চুল দাঁড়ি কাটবেন না, হিন্দুদের দোকান থেকে মিষ্টি কিনবেন না আমিও এখান থেকে ভারতপ্রেমীদের বলতে চাই কড়া উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে। শুধু মুখে নয়, কার্যক্ষেত্রে। এমন উত্তর দেন যাতে বাংলাদেশে আজকের বাজারে ১৫০ টাকা পেঁয়াজ আর ১২০ টাকা আলু এটা যেন পাকিস্তানের মতো ১০০০ টাকা লিটার পেট্রল আর ৪০০ টাকা কেজি আটা হয়।’
শুভেন্দুবাবুর হুঁশিয়ারি, ‘ফরাক্কার ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ না গেলে বাংলাদেশের ৮০ ভাগ জায়গা এক্ষুণি অন্ধ কার হয়ে যাবে। এটা কোনও বৈষম্যমূলক কথা নয়। আমার জাতীয় পতাকা আগে। এই জাতীয় পতাকার জন্য চট্টগ্রামের মাস্টারদা সূর্য সেনেরা আত্মবলিদান দিয়েছিলেন। ৩০০০ ভারতীয় সেনাসহ ১৭ হাজার BSF জওয়ান আত্মবলিদান দিয়েছেন। কোথায় ছিলেন এরা? ৩০ হাজার বাঙালি হিন্দু আত্মবলিদান দিয়েছেন। তার পর একাত্তরের বিজয় এসেছে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে কলকাতায় মহাসমাবেশ করে বাংলাদেশের মাটিতে রাজাকার ও পাকিস্তানের চরদের জবাব ব্যবস্থা এপার থেকে ভারতীয়রা করবে।’