কালীপুজোর রাতে সুন্দরবন লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায় পর পর ২টি ঘটনায় শাসকদলের হিন্দু বিধায়ক আক্রান্ত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের খাসতালুকে তাদেরই বিধায়করা আক্রান্ত হওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতিকে দায়ী করেছেন তিনি। সঙ্গে রাজ্যবাসীকে তাঁর সতর্কবার্তা, তাদের জন্য যে গভীর বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে তা একমাত্র রুখতে পারে বিজেপি।
কালীপুজোর রাতে তৃণমূল নেতা আবদুল খালেক মোল্লার বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হন মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল। তাঁকে শাড়ি ধরে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রড দিয়ে মারা হয় পায়ে। তাতে উষারানির পা ফেটে গিয়েছে। ওদিকে ন্যাজাটে আক্রান্ত হন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তাঁর গাড়িতে পাথর ছোড়ে তৃণমূল নেতা আবদুল কাদের মোল্লা ও তাঁর অনুগামীরা। লাগোয়া ২ বিধানসভা কেন্দ্রের ২ হিন্দু তৃণমূল বিধায়কের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ভোটব্যাঙ্ক বেঁধে ঘরে তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন সমাজের একটা অংশকে লম্বা দড়ি দিয়েছে। তারাও তৃণমূলকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে বিনিময়ে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের ওপর যখন খুশি হামলা চালানোর স্বাধীনতা পেয়েছে তারা। তারা মূর্তি ভাঙছে, সনাতনীদের উৎসবে হামলা চালাচ্ছে, ধর্মাচরণে বাধা দিচ্ছে, ধর্মীয় শোভাযাত্রায় আক্রমণ করছে। পুলিশ প্রশাসন চুপ কারণ এদের মাথার ওপরে শাসকদলের হাত রয়েছে। শাসকদল এদের ভোটের সময় ব্যবহারের জন্য অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে।’
শুভেন্দুবাবুর সতর্কবার্তা, ‘মনে রাখবেন, কর্মফল বলে একটা জিনিস আছে। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই উন্মত্ত ব্যক্তিরা তৃণমূলেরই হিন্দু বিধায়কদের নিশানা করছে। বৃহস্পতিবার রাতে তেমনই হিংসাত্মক দলীয় সহকর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলেরই ২ বিধায়ক। সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর ওপর হামলা চালিয়েছেন আবদুল কাদের মোল্লা আর মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের ওপর হামলা চালিয়েছেন আবদুল খালেক মোল্লা।’
শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘২ জন বিধায়কই কালীপুজোর উদ্বোধন সেরে ফিরছিলেন। পশ্চিমবঙ্গবাসীদের বোঝার সময় হয়েছে যে তাদের জন্য কী গভীর বিপর্যয় অপেক্ষা করে রয়েছে। আর দানবদের বোতলে ভরে এই বিপর্যয় ঠেকাতে পারে শুধু বিজেপি।’