রবিবার পুরসভার নির্বাচন। আজ দক্ষিণ কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে বালিগঞ্জ থেকে কালীঘাট পর্যন্ত মিছিল হয়। আজ প্রচারের শেষদিনে এই মিছিল থেকে ঝড় তোলেন তিনি। মিছিলের শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির এক–দুটো আবর্জনার জামানত জব্দ হবে। এটা ভারতের মানচিত্রে কলকাতাকে সর্বশ্রেষ্ঠ করার নির্বাচন। ২০১০ সালের আগের কলকাতা আর এখনকার কলকাতার মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। যারা বলেছিলেন বাংলায় দুর্গাপূজা হয় না, তারা দেখুন দুর্গাপুজো স্বীকৃতি পেয়েছে। বিজেপির মতো দু’নম্বরী দল সারা ভারতে নেই।’
এরপর মিছিল যতই এগিয়েছে ততই চড়েছে রাজনীতির পারদ। তবে কলকাতা আজ মানুষের জনসমুদ্রের আকার ধারণ করে। সেখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা মাথায় রেখেই ভোটদানের আর্জি জানাচ্ছি। তৃণমূল কংগ্রেস খেলাতেও আছে মেলাতেও আছে। আন্দোলন–উন্নয়নেও আছে তৃণমূল কংগ্রেস। সারাদেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে আছে।’
এদিন এই মিছিল থেকে বিজেপিকে তুলোধনাও করেছেন অভিষেক। টেনে নিয়ে এসেছেন ত্রিপুরা পুরসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘গোটা ভারতের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা। ত্রিপুরার পুরভোটের আগে বারবার আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গাড়ি ভেঙেছে, বাড়িতে হামলা হয়েছে, মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। কিন্তু দেখুন কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের আগে সবকিছু শান্তিপূর্ণ। রাস্তায় বেরোলে উন্নয়ন চোখে পড়ছে। দিদি যে কথা দেন সেই কথা রাখেন। বাংলা ভারতকে পথ দেখায়। ত্রিপুরায় রোজ বিরোধীদের মারা হচ্ছে। কলকাতায় নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে, একজন বিরোধীর গায়ে হাত পড়েছে? এটাই বিজেপি শাসিত রাজ্য আর বাংলার মধ্যে তফাৎ। আমাকে ধমকে চমকে লাভ হবে না।’
এখান থেকে দলের নেতা–কর্মীদেরও বার্তা দেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিলের শেষে বলেন, ‘তথ্য পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে লড়াই করুন। ১০–০ গোল দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। তৃণমূলের নাম করে কোথাও দাদাগিরি চলবে না। কারও জন্য দল যদি এতটুকু কলুষিত হয়, তাহলে পর দিনই তাঁকে বহিষ্কার করা হবে। কারও জন্য আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে বরদাশ্ত করা হবে না।’