আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। সেই খবর কে বা কারা ছড়াতে পারে, তা আগাম জানা না গেলেও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সেখান থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে চায়। তাই এই ধরনের কিছু ঘটলে তা রোখার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল সরকার।
এই বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘আর কয়েক মাস পর থেকে ভুয়ো খবর ছড়ানো হবে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। তাই আমরা ঠিক করেছি বাস্তবকে তুলে ধরে সেইসব ভুয়ো খবরের মোকাবিলা করব। আমরা তা সপ্তাহে এবং মাসে দু’ভাবেই করব।’ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপি অমিত মালব্যকে সামনে নিয়ে এসেছে। তিনি বিজেপি’র আইটি সেলের প্রধান। তাঁকে সহকারি ইনচার্জ করা হয়েছে রাজ্যে। তারইমধ্যে তৃণমূলের তরফে নয়া কৌশল নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি দুর্গাপুজোর আগে ভুয়ো খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। তার জন্য কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে কথা জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুলিশকে। তখন থেকেই সাইবার সেলকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল এমনিতেই বেশ শক্তিশালী। সেটাকে আরও মজবুত করতে বলা হয়। যাতে ভুয়ো খবর ধরা যায়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বেশ কিছু ভুয়ো খবর ধরেছিল নির্বাচন কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের সময় ছড়িয়ে পড়েছিল ভুয়ো খবর। সেখানে বলা হয়েছিল, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন দেখ, আমি জিতলে কেমন হিন্দুরা কাঁদে।’ এটি সম্পূর্ণ একটি ভুয়ো খবর ছিল। সেটাই এবার আটকাবার জন্য ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকেরবার্গকে চিঠি লেখা হযেছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
সেই চিঠিতে যাতে ভুয়ো খবর রোখা যায় সেই ব্যবস্থা নেওযার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ভুয়ো খবরের সঙ্গে বিজেপি জড়িত থাকলে যে কেউ আদালতে যেতে পারেন। কিন্তু কেন তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ভয় পাচ্ছেন? বিজেপিকে তারা কাউন্টার করতে পারছে না বলেই এইসব কথা বলছে।’