বিরোধী দলনেতা হয়ে রাজ্য চষে ফেলছেন তাঁর ছেলে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার কড়া আক্রমণ করে চলেছেন তিনি। এবার তাঁর বাবাকেই নিশানা করল তৃণমূল কংগ্রেস। হ্যাঁ, এই দু’জন হলেন শান্তিকুঞ্জের বাসিন্দা শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারী। একুশের নির্বাচনী সভায় উঠে এসেছিল ‘বাপ–বেটা’ মন্তব্যে। তাঁদের যে ছাড়া হবে না তাও বলা হয়েছিল। এবার শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়ে সোচ্চার হল তৃণমূল কংগ্রেস। এই দু’জনের সাংসদ পদ খারিজের দাবি লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বলে জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একুশের নির্বাচনের মুখে অমিত শাহের সভায় উপস্থিত হন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডল। যদিও তাঁরা সাংসদ পদ ছাড়েননি। এবার সেই পদ খারিজের প্রক্রিয়া শুরু হল।
এই সাংসদ পদ খারিজের বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে সাংসদ হয়ে অন্য দল করছেন সুনীল মণ্ডল এবং শিশির অধিকারী। তাই তাঁদের সাংসদ পদ খারিজ করা হোক। এই নিয়ে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন। আমরা মনে করি, ওঁদের লোকসভার সাংসদ হিসেবে থাকার বৈধতা নেই। কারণ, তাঁরা দলত্যাগ করেছেন।’
এদিন স্বপন দাশগুপ্ত ইস্যুকে টেনে কুণাল বলেন, ‘রাজ্যসভায় ইস্তফার পর বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর স্বপন দাশগুপ্তকে ফের রাজ্যসভায় যদি ফেরানো যায়, তাহলে শিশির–সুনীলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে কেন পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? আমাদের আবেদনে কেন সাড়া দিচ্ছেন না স্পিকার? অথচ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রাষ্ট্রপতির অফিসকে ব্যবহার করে স্বপন দাশগুপ্তকে ফের রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ এগরায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন শিশির অধিকারী। বিজেপিতে যোগ দিয়ে শিশির বলেছিলেন, ‘অত্যাচারীদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচান। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমাদের পরিবার আপনাদের পাশে রয়েছে।’ কিন্তু তারপরও দেখা যায় তৃতীয়বার বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সরকার গড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।