শুধু বাংলাতেই নয়, ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের সমাবেশ লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে অন্য রাজ্যেও। ইতিমধ্যে তৃণমূলের তরফে অন্য রাজ্যে সাংগঠনিক বিস্তারের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার অন্য রাজ্যেও শহিদ দিবসের সমাবেশ লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এই শহিদ দিবসের সমাবেশকে ঘিরে বাড়তি আগ্রহ রয়েছে অন্য রাজ্যেও। উত্তর প্রদেশ, ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়, বিহার, ঝাড়খণ্ডেও ২১ জুলাইয়ে শহিদ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। উত্তরপ্রদেশের লখনউ, মির্জাপুর, আজমগড়, বেনারস, বরোলিতে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। ত্রিপুরায় আগরতলা, আমবাসা, কৈলাশহর, ধর্মনগর, উদয়পুরে বিভিন্ন জায়গায় জায়েন্ট স্কিনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অসমের গুয়াহাটি, শিলচরেও শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। পাশাপাশি মেঘালয়তেও তৃণমূলের তরফে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তৃতা শোনানো হবে, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, অন্য রাজ্যেও পালিত হবে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান। অভিষেকের নির্দেশ মতোই এবার বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলের এই কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, তৃণমূল ইতিমধ্যে বাংলার বাইরে ত্রিপুরা, গোয়া, মেঘালয়ে নিজেদের সংগঠনকে বিস্তার করার কাজ শুরু করেছে। গোয়ায় গত বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরাতেও গত পুরভোটে লড়েছে তৃণমূল ও আগামী বছর বিধানসভা ভোটে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।