রাজ্যপালের জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নতুন অভিযোগ নিয়ে হাজির হল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে দলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় দেবাঞ্জন কাণ্ড থেকে হাওয়ালায় ফের এবার রাজ্যপালকে জড়ানোর চেষ্টা করেন। ছবি ও নথি দেখিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রাজ্যপাল।
এদিন প্রথমে বেশ কয়েকটি ছবি দেখান শুখেন্দুশেখরবাবু। তাতে রাজ্যপাল ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে আরও ২ জনকে। পিছনে দেখা যাচ্ছে এক নিরাপত্তারক্ষীকে। শুখেন্দুশেখরবাবুর দাবি, ওই ব্যক্তি ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের নিরাপত্তারক্ষী হিসাবেও কাজ করেছেন। কী করে প্রতারকের নিরাপত্তারক্ষী রাজভবনে পৌঁছল সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সঙ্গে তিনি বলেন, নিরাপত্তারক্ষীর হাত দিয়ে খাম ও উপহার পাঠানো হত বলে খবর পেয়েছি। গোয়েন্দাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলবো।
এর পর হাওয়ালাকাণ্ডের কাণ্ডারির মৃত্যুতে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি শোকবার্তার ছবি দেখান তিনি। সঙ্গে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকের পরদিনই মৃত্যু হয়েছে সুরেন্দ্র জৈনের। বিষয়টি কি কাকতালীয়? এরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সঙ্গে একাধিক নথি দেখিয়ে সুখেন্দুশেষরবাবু দাবি করেন, জগদীপ ধনখড় নামধারী এক ব্যক্তি ১৯৯১ সালে হাওয়ালাকাণ্ডে ১২ লক্ষ টাকারও বেশি পেয়েছিলেন। তিনি কি আমাদের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়? দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে তৃণমূল রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেবাঞ্জন কাণ্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ছবি দেখিয়ে লাভ হবে না। প্রতারকরা ওরকম সবার সঙ্গে ছবি তুলে রাখে। তাহলে রাজ্যপালকে আক্রমণ করতে গিয়ে কেন ছবি দেখাচ্ছে তৃণমূল?