আগামী ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে থেকেই বাংলায় বিজেপিকে সর্বস্তরে বুঝে নিতে নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু সাংগঠনিকভাবে রাজনীতির ময়দানে গেরুয়া শিবিরকে বুঝে নেওয়া নয়, এবার একেবারে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পদ্ম শিবিরকে বুঝে নিতে রিল বানানো শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন প্রজন্মের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সুর মেলাতে তৃণমূল কংগ্রেস ‘স্পটিফাই র্যাপড’–এর জনপ্রিয় ট্রেন্ডে অংশগ্রহণ করে একটি রিল প্রকাশ করেছে। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। রিলটিতে বিজেপির এই বছরের অপশাসনের সমালোচনা করা হয়েছে।
এদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে অপশাসনের একাধিক অভিযোগ এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেগুলি এখানেই তুলে ধরা হয়েছে। নানা সভা–সমাবেশ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–নেত্রীরা বিজেপি সম্পর্কে যেসব কথা বলে থাকেন সেগুলিই এবার তুলে ধরা হয়েছে এই রিলে। প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্য বাংলার ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রাখা থেকে শুরু করে ‘ওয়াশিং মেশিন নীতি’ ব্যবহার করে দুর্নীতিবাজ নেতাদের শুদ্ধ করে দলে নেওয়া, বিজেপির বাংলা বিরোধী মনোভাব এই বছর আরও নিচে নেমেছে। রেকর্ড সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে ভারতীয় টাকার মূল্য এবং বিজেপি মণিপুর ইস্যুকে উপেক্ষা করার জন্য ও তাদের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে হিংসাত্মক বক্তব্য ছড়ানোর জন্য বিজেপি নেতাদের নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে এই রিলে ভিডিয়োর পাশাপাশি গ্রাফিক্সের মাধ্যমে একাধিক বিষয় তুলে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই ইস্যুগুলি তুলে ধরা হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসনে জয়ের দাবি করেছিল বিজেপি। তবে সেখানে বিজেপির ২৪০টি আসনে থামতে হয়েছে। এই বিষয়ে জোটসঙ্গীদের উপর নির্ভরশীল হওয়া বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, ‘রাজনৈতিক সমর্থনের বিনিময়ে বিশেষ প্যাকেজ দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।’ ট্রেন্ডিং ফর্ম্যাট এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি এমন কন্টেন্ট তৈরি করছে। যা হাস্যরসের উদ্রেক করছে। আবার প্রাসঙ্গিকতা এবং তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক মন্তব্যের মিশেলে তৈরি ভিডিয়ো দেখতেও পছন্দ করেন নতুন প্রজন্মের ছেলে–মেয়েরা।
আরও পড়ুন: দিঘায় সকালে কাজের প্রস্তুতি শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী, জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন কবে?
এছাড়া ওই ভিডিয়ো ১ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের। ইতিমধ্যে সেটি ভাইরাল হয়েছে। এখন দেখার পাল্টা কী লেখে বিজেপি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করল সেটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ভাইরাল ভিডিয়ো, মিম, জিআইএফ এবং স্টিকার ব্যবহার করে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নেটাগরিকদের আকৃষ্ট করেছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের তা ভাল লেগেছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে ডিজিটাল কৌশল শুধুমাত্র বৃহত্তর জনসংযোগকেই নিশ্চয়তা দেয় না, বরং প্রচলিত প্রচার কৌশলের বাইরে রাজনৈতিক বার্তাও দেয়।