বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > লালন শেখের মৃত্যুতে সম্মুখসমরে তৃণমূল ও বিজেপি

লালন শেখের মৃত্যুতে সম্মুখসমরে তৃণমূল ও বিজেপি

রাহুল সিনহা।

লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে এদিন রাহুল সিনহা বলেন, ‘তৃণমূলের হাতে কিছু নেই। তাই ওরা এটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। লালন শেখ ওই খুনের মামলায় জড়িত আসামী। আর যারা জেলখানায় রয়েছে তারাও খুনের মামলার আসামী।

বগটুই গণহত্যায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তরজা শুরু হল তৃণমূল ও বিজেপি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার দাবি, ‘তৃণমূল আসামীদের জন্য লড়াই করে।’ পালটা ফিরহাদ বলেন খুন করেছে বিজেপি।

লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে এদিন রাহুল সিনহা বলেন, ‘তৃণমূলের হাতে কিছু নেই। তাই ওরা এটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। লালন শেখ ওই খুনের মামলায় জড়িত আসামী। আর যারা জেলখানায় রয়েছে তারাও খুনের মামলার আসামী। এ থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, তৃণমূল আসামীদের জন্য আন্দোলন করে, লড়াই করে। খুনির জন্য লড়াই করে। কিন্তু যারা খুন হয়েছে তাদের জন্য তৃণমূল লড়াই করে না’।

পালটা ফিরহাদ বলেন, ‘তৃণমূল কোনও লোক পাঠায়নি। তুমি অন্যায় করবে। তুমি সিবিআইকে হাতিয়ার করবে। সিবিআইকে দিয়ে অত্যাচার করবে। সিবিআইকে দিয়ে নিরীহ লোকগুলোকে গ্রেফতার করাবে। আর যখন কারও মৃত্যু হবে তখন উলটো দেবে। এটার খুনি সিবিআই নয়। খুনি বিজেপি’।

গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে খুন হন স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখ। অভিযোগ, এর কয়েক ঘণ্টা পর ভাদুর ঘনিষ্ঠ লালন শেখের নেতৃত্বে গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পেট্রোল পাম্প থেকে জ্যারিকেনে করে পেট্রোল কিনে এনে ৯ জন মানুষকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে মারে লালন শেখরা। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল লালন। ঘটনার প্রায় ৯ মাস পর গত ৪ ডিসেম্বর তাকে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া ঝাড়খণ্ড সীমানার পাকুড় থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে সিবিআই হেফাজতেই ছিল লালন। সোমবার বিকেলে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসের শৌচাগার থেকে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও পরিবারের দাবি, লালন শেখকে পিটিয়ে খুন করেছে সিবিআই।

 

বন্ধ করুন