বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Calcutta High Court: বোর্ড গঠনের বৈঠকে জয়ী ISF-এর বদলে তৃণমূল প্রার্থীকে ডাক, ভুল স্বীকার রাজ্যের

Calcutta High Court: বোর্ড গঠনের বৈঠকে জয়ী ISF-এর বদলে তৃণমূল প্রার্থীকে ডাক, ভুল স্বীকার রাজ্যের

কলকাতা হাইকোর্ট

আইএসএফ প্রার্থীর অভিযোগ, তিনি জিতলেও বোর্ড গঠনের সময় পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে ডাকেন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জয়ী আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিন সর্দার।

আইএসএফ প্রার্থী জিতলেও বোর্ড গঠনের জন্য ডাকা হয়ছিল পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে। এর জন্য আদালতের কাছে ভুল স্বীকার করল রাজ্য সরকার। বিচারপতি অমৃতা সিনহা পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের বৈঠকে অবিলম্বে জয়ী প্রর্থীকে ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

আইএসএফ প্রার্থীর অভিযোগ, তিনি জিতলেও বোর্ড গঠনের সময় পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে ডাকেন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জয়ী আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিন সর্দার।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে আইএসএফ প্রার্থী বসিরুদ্দিন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ভোগালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দাঁড়ান। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫৯৫। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে আখের আলি মোল্লা পান ৩৮৭টি ভোট। বসিরুদ্দিনকে জয়ের শংসাপত্রও দেওয়া হয়। বুধবার বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিডিও বোর্ড গঠনের জন্য সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের ডাকেন। ১৮ জন সদস্যের মধ্যে জয়ী বসিরুদ্দিনের বদলে ডাকা হয় পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আখের মোল্লাকে।

আদালতের দ্বারস্থ হন বসিরুদ্দিন। সোমবার মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মঙ্গলবার মামলাটি তাঁর এজলাসে উঠলে বিচারপতি বিডিওর কাছে জানতে চান কী করে এমন হল? জয়ের শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পরও কেন আইএসফ প্রার্থীকে ডাকা হল না। উত্তরে বিডিও জানান ভুলবশত এমনটা হয়েছে।

বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন অবিলম্বে, বোর্ড গঠনে জয়ী প্রার্থীকে ডাকতে হবে। বিডিও কেন এমনটা করলেন তাও তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

(পড়তে পারেন। 'অন্যদের প্রতি সুবিচার করেছেন যে নিজে জাস্টিস চাইছেন?' BDO-কে ভর্ৎসনা বিচারপতির)

এর আগেও সিপিআইএম প্রার্থীর মনোনয়ন বিকৃতি মামলায় উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে-কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন নীলাদ্রিশেখর। তবে সেখানে স্বস্তি পাওয়ার বদলে উলটে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে।

উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি নীলাদ্রিশেখরদে-কে প্রশ্ন করেন, 'কেন এসেছেন আদালতে?' জবাবে নীলাদ্রিশেখর বলেন, 'সুবিচার পেতে'। এরপরই বিচারপতি বলেন, 'আপনি কি নিজে অন্যদের প্রতি সুবিচার করেছেন যে এখন নিজে সুবিচার চাইতে এসেছে? রাজ্য সরকারের সঙ্গে আপনিও মামলা করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না দিয়ে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাহলে এখন কেন সেই কমিটির সুপারিশ মানতে অস্বীকার করেছেন?'

বন্ধ করুন