তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বড়সড় রদবদল আসতে পারে বলে জানা গিয়েছে রিপোর্টে। এই মর্মে নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি একটি তালিকা পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করা হচ্ছে, ১২৫টি পুরসভায় রদবদল হবে। এই আবহে প্রশ্ন উঠেছে, কলকাতা পুরসভাতেও কি মেয়র বদল করা হবে? তবে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হল, মমতাকে পাঠানো অভিষেকের তালিকায় নেই কলকাতার নাম। এই আবহে ফিরহাদ হাকিমের মেয়রের পদ 'আপাতত নিরাপদ'। উল্লেখ্য, এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যা যখন দলে 'এক ব্যক্তি, এক পদ' চালুর কথা বলেছিলেন, তখনও ফিরহাদকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে তখন সেই বিতর্কের আগুনে জল ঢেলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে মন্ত্রী থাকার পাশাপাশি কলকাতার মেয়র পদেও বহাল থেকেছেন ফিরহাদ। (আরও পড়ুন: আরজি করের চিকিৎসক খুনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র অনেকটাই পরিষ্কার: CBI অফিসার)
আরও পড়ুন: ডিএ বাড়াচ্ছে না রাজ্য, এবার সরকারের 'চোখে চোখ রাখার' সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের
এদিকে লোকসভা ভোটের পর থেকেই শহুরে এলাকায় বিশেষ নজর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় পুরপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বাড়লেও শহুরে এলাকায় বিজেপির ভোট বেড়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে রাজ্যের ৬৯টি পুরসভায় বিজেপি এগিয়ে তৃণমূলের থেকে। কলকাতায় তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে ৪৮টি ওয়ার্ডে। যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের জন্যে। এই আবহে রাজ্যের বহু পুরসভার প্রধানকে বদল করার জন্যে মমতার কাছে প্রস্তাব পাঠালেন অভিষেক। (আরও পড়ুন: জেলার পুলিশ অফিসারদের চরিত্র খারাপ, প্রত্যেকে পরকীয়ার সঙ্গে জড়িত: শুভেন্দু)
আরও পড়ুন: গঙ্গার নীচে দিয়ে আরও একটি সুড়ঙ্গ তৈরি হবে কলকাতা থেকে হাওড়া, দাবি রিপোর্টে
আরও পড়ুন: সাগরে জন্ম নিতে পারে নিম্নচাপ, এই আবহে বাংলার কোথায় বৃষ্টি হবে এর মধ্যে?
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেসে 'প্রবীণদের অবসর' নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চর্চা চলছে। এটা সময়ে প্রকাশ্যে এই নিয়ে নবীন-প্রবীণ ফাটল দেখা গিয়েছিল দলে। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সংগঠনের রাশ হাতে নেন। তবে পরে ফের অভিষেক ময়দানে নেমে দলের সংগঠনকে নেতৃত্ব দেন। একের পর এক নির্বাচনে সেনাপতি হিসেবে দলকে জিতিয়েছেন। এই আবহে ফের একবার দলে রদবদল আনার বিষয়ে সক্রিয় হয়েছেন অভিষেক। এই নিয়ে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তালিকাও পাঠিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে প্রবীণদের টিকিট দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কিছুটা মতানৈক্য ছিল বলে কানাঘুষো শোনা যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয় এই নিয়ে নিজের মত সেই সময়ও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তারপরও লোকসভার প্রার্থিতালিকায় নাম ছিল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়দের। তবে এই তিন প্রবীণ নেতার হয়ে প্রচার করতে দেখা যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সীদের সঙ্গেও একসময় নাকি অভিষেকের 'দূরত্ব' তৈরি হয়েছিল 'তারুণ্য' ইস্যুতে।