২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নবগঠিত কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক নিয়ে শুরু হল গুঞ্জন। বৈঠকে গরহাজির দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওদিকে বৈঠক আলো করে মুখে কুলুপ এঁটে বসে রইলেন তৃণমূলের নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
জানা গিয়েছে, গত মাসেই তৃণমূলে ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করার জন্য তৈরি করেছেন ২১ জনের কো-অর্ডিনেশন কমিটি। শনিবার তৃণমূল ভবনে ছিল সেই কমিটির প্রথম মিটিং। তাতে গরহাজির ছিলেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির মোট ৪ জন সদস্য। তার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতি নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে সব থেকে বেশি।
এদিনের বৈঠকে শুভেন্দু ছাড়াও দেখা মেলেনি দেবু টুডু, মৃগাঙ্গ মাহাতো ও হিতেন বর্মনের। এর মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। বাকিরা কেন আসেননি সেই প্রশ্নের জবাব তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা নিজের নিজের এলাকায় কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন তাঁরা।
কিন্তু ২০২১ এর যে নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জীবন-মরণ লড়াই তার রণকৌশল তৈরির থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর কী হতে পারে তৃণমূল নেতাদের কাছে? বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলের মায়া অনেকদিন আগেই কাটিয়ে ফেলেছেন শুভেন্দু। যতই মানুষের কাছাকাছি থাকুন, অভিষেকের থেকে বেশি গুরুত্ব যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাবেন না তা বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছেন। মান ভাঙাতে শুভেন্দুকে কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য করেছেন মমতা। কিন্তু এসবে আর জড়াতে নারাজ তিনি।
ওদিকে এদিনের বৈঠকে তৃণমূল ভবনে দেখা মেলে প্রশান্ত কিশোরের। গোটা বৈঠকে প্রায় কোনও কথাই বলেননি তিনি। চুপ করে বসে শোনেন তৃণমূল নেতাদের আলোচনা।
সমালোচকদের প্রশ্ন, প্রশান্ত কিশোর কি তৃণমূলের কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য? তিনি কি তৃণমূলের সদস্য? নইলে দলের শীর্ষনেতাদের বৈঠকে কেন হাজির থাকলেন তিনি? বিরোধীদের কটাক্ষ, শুভেন্দুদের কাজে না লাগালে প্রশান্ত কিশোরদের ময়দানে নামাতে হয়।