লোকসভা নির্বাচন মিটতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল কলকাতার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানকার তৃণমূল কাউন্সিলর সরোজ মণ্ডলকে মেরে কান ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূলেরই কিছু লোকজন তাঁকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর।
আরও পড়ুন: বারুইপুরে বিধায়কের সামনেই বোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূলের মারপিট, পুলিশের লাঠিচার্জ
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পাটুলির ওই ওয়ার্ডে কার্যালয়ে বসতে যাওয়া নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ দিন তৃণমূল কাউন্সিলর কার্যালয়ে বসতে গেলে দলের কিছু কর্মী তাতে আপত্তি জানায়। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলর কর্মীদের বোঝান ওই কার্যালয় তাঁর। তবে তাতেও কাজ হয়নি। কর্মীদের আপত্তি অব্যাহত থাকে। তাদের বক্তব্য, কোনওভাবেই কাউন্সিলরকে ওই কার্যালয়ের চেয়ারে বসতে দেওয়া যাবে না। এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা এবং তারপরেই হাতাহাতি বাঁধে। ঘটনায় কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলরকে মারধর করে বলে অভিযোগ। কিল, ঘুষি মারার ফলে কান ফেটে যায় কাউন্সিলরের। ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সোজা পাটুলি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। এই ঘটনায় ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারকেশ্বর চক্রবর্তীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন আক্রান্ত কাউন্সিলর।
জানা যাচ্ছে, ওই কার্যালয়ে সপ্তাহে একদিন বসেন বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার এবং বাকি দিনগুলিতে বসেন কাউন্সিলর। স্বরাজ মণ্ডলের অভিযোগ লোকসভা ভোটের আগেও তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। তখনও তারকেশ্বর চক্রবর্তীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তবে সেই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এ দিনের ঘটনাতেও তারকেশ্বর চক্রবর্তীর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কাউন্সিলর।
অন্যদিকে বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার জানান ,তিনি বর্তমানে কলকাতার বাইরে রয়েছেন। এবিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। কলকাতায় ফিরে তিনি এ বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন। তবে খাস কলকাতায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কাউন্সিলরের কান ফাটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি শরীরের একাধিক জায়গায় মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।