কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ধর্মতলায় সভা করার পরের দিনই তৃণমূলের একাধিক নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেই তালিকায় ছিলেন বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী। তাঁর দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক নথিপত্র পেয়েছিল সিবিআই। তারপরেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে সেই জল্পনাকে দূরে সরিয়ে ওই সমস্ত নথিপত্রের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করলেন দেবরাজ।
আরও পড়ুন: বিধাননগরের কাউন্সিলর দেবরাজের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি, শাহের হুঁশিয়ারির পরই হানা
সিবিআই সূত্রের খবর, দেবরাজের বাড়ি থেকে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে বদলির আবেদন পত্র। সে প্রসঙ্গে একটি বাংলা সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি থেকে শুধুমাত্র দুটি অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে। তবে নিয়োগের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। কোনও প্রার্থী হয়তো শংসাপত্র পাওয়ার জন্যই সেগুলি তাঁকে দিয়েছিলেন। তবে ওই প্রার্থীরা চাকরি পাননি বলেই নিশ্চিতভাবে দাবি করেছেন দেবরাজ। এর পাশাপাশি শিক্ষকের বদলির আবেদন পত্র প্রসঙ্গে দেবরাজের দাবি, ওই আবেদনপত্রগুলি অনেক পুরনো। তৎকালীন বিধায়কের তরফ থেকে এই আবেদনপত্র তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। তবে এর সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগ নেই বলেই স্পষ্টভাবে দাবি করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামীকে নিয়ে দেবরাজের রাজারহাট এবং দমদম পার্কের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেখানেই নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে দেবরাজ দাবি করেছিলেন, সিবিআই কিছু নথি চেয়েছিল সেগুলো তিনি দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করার কথাও জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, ওই দিনই কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেখানেও দীর্ঘক্ষণ ধরে চালিয়ে বেশকিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সেক্ষেত্রে বাপ্পাদিত্যর বাড়ি থেকে কয়েকজন প্রার্থীর বায়োডাটা পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা যায়। এছাড়াও আরও বেশ কিছু নথি তাঁর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। পরে বাপ্পাদিত্য জানিয়েছিলেন, ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট, মোবাইল নম্বর এবং বায়োডাটা নিয়েছে সিবিআই। যদিও তৃণমূল নেতাদের দাবি, যাদের অ্যাডমিট কার্ড বা বায়োডাটা পাওয়া গিয়েছে তাদের কারও চাকরি হয়নি, অথবা নিয়োগের সঙ্গে যোগ নেই। তাদের সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সিবিআই।