বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারিসহ ৮ দফা দাবিতে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দিল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে দলের তরফে জানানো হয়েছে, আলোচনা সন্তোষজনক। সাক্ষাতের ভিডিয়ো টুইট করা হয়েছে রাজভবনের তরফেও।
রাজ্যের দায়িত্বে আসার পর থেকেই রাজ্য – রাজ্যপাল সম্পর্কের টানাপোড়েন সুবিদিত। রাজ্যপালকে বিজেপির দালাল, পাগল প্রভৃতি উপাধিতেও ভূষিত করেছেন তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা। সম্প্রতি সেই দ্বন্দ চরমে পৌঁছয়। আইন সংশোধন করে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। আর বিধানসভার সেই অধিবেশন শেষ হতেই বদলে যায় ছবিটা। হঠাৎ দলের তরফে জানানো হয়, শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে রাজভবনে যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।
মঙ্গলবারের প্রতিনিধিদলে ছিলেন, ব্রাত্য বসু, তাপস রায়, সায়নী ঘোষ, বিশ্বজিৎ দেব, শশী পাঁজা প্রমুখ। রাজ্যপালের হাতে ৮টি দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেন তাঁরা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দীর্ঘ ২ ঘণ্টা আলোচনা হয় তাঁদের। আলোচনা শেষে রাজভবন থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের তরফে জানানো হয়, ‘রাজ্যপালের সঙ্গে সন্তোষজনক আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে দলের তরফে আসা হয়নি। এবার থেকে নিয়মিত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে তৃণমূল। তিনি যেমন বিরোধীদের রাজ্যপাল তেমনই শাসকদলেরও।’
ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমরা জানি, শুভেন্দুর গ্রেফতারি নিয়ে রাজ্যপালের সরাসরি কিছু করার নেই। কিন্তু বিজেপিতে যোগদান করলেই তার বিরুদ্ধে সিবিআই ইডির তদন্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটা রাজ্যপালকে বুঝিয়ে বলেছি। সঙ্গে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি শুভেন্দু ঠিক কী ধরণের মানুষ।’
এর পর রাজভবনের তরফে বৈঠকের একটি ছবি টুইট করে লেখা হয়, রাজ্যপাল তৃণমূলের প্রতিনিদলের কাছে আবেদন করেছেন, শাসকের আইন নয়, দেশের আইন মেনে চলুন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মতো সিন্ডিকেট, মাফিয়ারাজ চলছে তা বন্ধ করুন। ত্রাণ বণ্টনে তোষণ ও সাম্প্রদায়িকতা বন্ধ করুন। মুখ্যমন্ত্রী যাতে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেন তা নিশ্চিত করুন।