চারদিনে তিনবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে হাত মেলাতে ১০ জনপদে গেলেন প্রশান্ত কিশোর। তাই জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। যদিও এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু এখনও কোনও পক্ষই জানায়নি। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব বেড়েছে। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান কী হবে? উঠছে প্রশ্ন। যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অকপট জবাব দিয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়।
এদিকে পরিস্থিতি দেখে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব প্রশান্ত কিশোরকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘তৃণমূলে অনেক ভোটকুশলী আছে। তাঁদের মধ্যে প্রশান্ত কিশোর একজন।’ সুতরাং এই কংগ্রেস ঘনিষ্ঠতা মেনে নিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই বিষয়ে বিতর্কে জড়াননি তৃণমূল কংগ্রেসের দমদমের সাংসদ।
ঠিক কী বলেছেন সৌগত রায়? এদিন একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সৌগত রায় বলেন, ‘এটা ভালো ব্যাপার যে, নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে খুব ভালো কাজ করেছেন উনি। আগামী দিনে কী হবে, এটা এখনই বলা মুশকিল।’ সুতরাং কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠক করলেই সেটা অপরাধ হিসাবে দেখতে রাজি নন তিনি।
অন্যদিকে একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাফল্য এনে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। মাঝে একটু সমস্যার কথা সামনে উঠে এলেও ভোটকুশলী দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আগের মতোই আছে। এখনও প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে গাঁটছড়া রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তিনি। সেখানে এই কংগ্রেস–সখ্য নিয়ে নানা জল্পনা দেখা দিয়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে।