বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দলের পুরনো কর্মীদের সম্বর্ধনা দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে তাঁরা উজ্জীবিত হবেন। আর সংগঠনের কাজে আরও মনোনিবেশ করবেন। বিজয়া সম্মিলনীর এই কর্মসূচি কীভাবে পালন করতে হবে তা ইতিমধ্যেই দলের সব বিধায়ক, জনপ্রতিনিধিদের কাছে লিখিত নির্দেশিকা পৌঁছে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আবার বিজয়া সম্মিলনীকে জনসংযোগের কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়? এই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্গাপুজো কেটে গেলেই রাজ্যের প্রতি ব্লকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতে হবে। আর সেই মঞ্চে ওই ব্লকের প্রত্যেক বুথ থেকে দু’জন করে অন্তত ৫০০ কর্মীকে সম্বর্ধনা দিতে হবে। তবে দলের পুরনো কর্মীদের এই সম্বর্ধনা দিতে হবে। এই কর্মী নির্বাচন করতে হবে ২০১১ সালকে ‘বেঞ্চ মার্ক’ ধরে নিয়ে। অর্থাৎ, আদি তৃণমূল হতে হবে। বিজয়া সম্মিলনীর মধ্যে দিয়ে জনসংযোগ আরও নিবিড় করে তোলার বার্তা দিয়েছে জোড়াফুল শিবির।
কোন তারিখ ঠিক করা হয়েছে? এই বিজয়া সম্মিলনীকে জনসংযোগের কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১১ অক্টোবর থেকে ২২ আক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের প্রতি জেলায় বিজয়া সম্মিলনী হবে। যেখানে মিষ্টি মুখ ছাড়াও থাকবে জনসভা। রাজ্যজুড়ে প্রায় ৫০০টি সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন, কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা, কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে সবর হওয়ার নির্দেশ জেলা নেতৃত্বকে দেওয়া হয়েছে। বিজয়া সম্মিলনীর মধ্যে দিয়ে জনসংযোগ এবং মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছে দল।
কেমন করে পুরনো কর্মীদের সম্বর্ধনা দেওয়া হবে? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা এলাকায় এই সম্মেলন করে সম্বর্ধনা দিতে হবে। ৭০টির মতো বিধানসভা কেন্দ্রে যেখানে দলের বিধায়ক নেই, সেখানে ওই দায়িত্ব দলের পুরসভা বা পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের নেতৃত্বকে করতে হবে। আর দলের পুরনো নেতা–কর্মীকে মঞ্চে ফুলের তোড়া, মিষ্টির প্যাকেট এবং দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে এই সম্বর্ধনা দিতে হবে। একইসঙ্গে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের ভিডিওগ্রাফি করে তা পাঠাতে হবে কলকাতায় অভিষেকের দফতরে। আর সতর্ক করা হয়েছে এই অনুষ্ঠান করার জন্য কোনওরকম চাঁদা তোলা যাবে না।