সোমবার রাতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠে বেলেঘাটা মেন রোড। এমনকী এই দুই গোষ্ঠীই বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। দু’পক্ষের সদস্যরাই নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় কর্মী বলে দাবি করেছেন। এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দু’জনের মাথা ফেটেছে বলেও অভিযোগ। এমনকী সংঘর্ষের সময় বোমা ছোড়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাও এই আতঙ্কের কথা থানায় জানান। আর তারপরই রাতে বেলেঘাটা থানার পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, এই সংঘর্ষের জেরে শঙ্কর চক্রবর্তী, সুরজিৎ চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী এবং জয় চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে জয় বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর। স্থানীয় তৃণমূলকর্মী হিসাবে পরিচিত শঙ্কর চক্রবর্তীর সঙ্গে বহুদিনের বিবাদ বেলেঘাটার আর এক তৃণমূলকর্মী রাজু নস্করের। সোমবার বেলেঘাটা মেন রোডে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে শঙ্কর উপস্থিত থাকলেও রাজু ছিলেন না। এই নিয়েই দু’পক্ষের ঝামেলা হয়। তা থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয় এবং মাথা ফাটে।
ঠিক কী বক্তব্য রাজু নস্করের? এই ঘটনায় চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আর তা নিয়ে রাজু নস্করের দাবি, ‘সোমবার রাতে খবর পাই, প্রদীপ দাস নামে আমাদের এক সমর্থককে শঙ্করের ছেলেরা মারছে। আর সেখানে আর এক কর্মী শুকদেব গিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রদীপ এবং শুকদেবকে রড–বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয়। তার জেরেই দু’জনেরই মাথা ফেটেছে। হাসপাতাল থেকে ফিরে শুকদেব ও প্রদীপের শরীর আবার খারাপ হলে তাঁদের স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার পর পাল্টা বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শঙ্কর চক্রবর্তী। যদিও পুলিশ রাতেই শঙ্কর, তাঁর দুই ছেলে সুরজিৎ ও প্রসেনজিৎ এবং জয় চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে। শঙ্করের ভাইপো সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা সবাই তৃণমূলকর্মী। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।’ এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক পরেশ পালের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।