পেগাসাস নিয়ে সংসদে সরব হতে চলেছে তৃণমূল। পেগাসাস স্পাইওয়্যার কাণ্ডে সরকারকে চাপে রাখতে এবার রণনীতি তৈরি করে ফেলল ঘাসফুল শিবির। এই কাণ্ড নিয়ে সরকারের কাছে ৯টি প্রশ্ন তুলে ধরবেন তৃণমূল সাংসদরা। বিজেপি বিরোধী অন্য দলের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকারের দিকে একের পর এক প্রশ্নবান ছুড়ে দেবেন লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় কক্ষের সাংসদরাই।
এদিন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের বাড়িতে তৃণমূলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। সেখানে ফুল দিয়ে অভিষেককে অভিনন্দন জানান তৃণমূল সাংসদরা। বৈঠকে ৯টি প্রশ্ন তুলে ধরা হয়। এই ৯টি প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার সফটওয়্যারটি কী ভারত সরকারের কোনও মন্ত্রক কিনেছিল? কিনলে কবে কিনেছিল? এখনও কী পেগাসাস সফটওয়্যারটিকে কী ব্যবহার করা হচ্ছে? কতদিন ধরে নজরদারি চালানো হচ্ছে? কোন উদ্দেশ্য এই ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছিল, তাও জানতে চাওয়া হবে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সেগুলি হল, কোন আইনের অধীনে এই ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছিল? কোনও ব্যক্তি বা এজেন্সিকে কী ওই ডেটা সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কী? কারা ওই ব্যক্তি বা এজেন্সিকে নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছিল ও ফর্মালি বা ইনফর্মালি যারা দায়িত্ব পালন করছিল, তাঁদের তালিকা কী?
গত সোমবার থেকে দফায় দফায় এই পেগেসাস ইস্যুতে লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় কক্ষ মুলতবি হয়ে যায়। শুধু সংসদেই নয়, সংসদের বাইরেও এই ইস্যুতে সরব হতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। আগামীদিনে এই পেগেসাস ইস্যু যে সংসদে বিরোধীদের বড় হাতিয়ার হতে যাচ্ছে, তা বলার আর কোনও অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের এই রণকৌশল মোদী সরকারকে যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলবে, সে কথা বলাই যায়। সূত্রের খবর, আগামী ২৫ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাচ্ছেন। দিল্লিতে গিয়ে একাধিক বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। স্বভাবতই সেই সময় পেগেসাস ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবেই। এখন এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সরকারকে চাপে ফেলতে পারে কিনা।