CAA বিরোধী আন্দোলনে ঝড় তুলে কাগজ না দেখানোর ডাক দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ তাঁর সভাতেই কাগজ না দেখাতে পারলে ঢুকতে পারবেন না দলের নেতাকর্মীরা। এমনই নির্দেশিকা জারি হয়েছে তৃণমূলে। আগামী ২ মার্চ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরভোটের প্রস্তুতি সভায় এই কার্ড না নিয়ে গেলে ঢুকতে পারবেন না নেতাকর্মীরা। সেকথা স্পষ্ট লেখা রয়েছে কার্ডের ওপরেই।
তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রতি বারই এই ধরণের বড় সভায় সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে নিয়ে আসেন তৃণমূল নেতারা। তাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ডাক না পেলেও চলে আসেন অনেকে। তাই এবার সব কিছু শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ময়দানে নেমেছিল প্রশান্ত কিশোরের টিম। তাদেরই মস্তিষ্ক প্রসূত ছোটখাটো আধার কার্ডের মতো দেখতে বারকোড ছাপা এই কার্ড। তাতে একদিকে ছাপা রয়েছে আমন্ত্রিতের নাম, দলের তাঁর পদমর্যাদা ও জেলার নাম। নীচে লেখা রয়েছে কত নম্বর সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হবে ও কোন আসনে বসতে হবে।
উলটো দিকে লেখা রয়েছে নির্দেশিকা। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কার্ড না আনলে ঢোকা যাবে না সভাকক্ষে।
নতুন এই কার্ড ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। অনেকের মতে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টার যে কথা বলা হচ্ছে তা শুধুই কথার কথা। এর পিছনে দলীয় নেতৃত্বের অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে।
এই কার্ডে ছাপা সুনির্দিষ্ট বারকোড দিয়ে চিহ্নিত করা যাবে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে। ফলে কে কখন সভায় ঢুকছেন আর দুপুরের খাবার তিনি খাচ্ছেন কি না তার ওপর নজরদারি চলবে এই কার্ডের মাধ্যমে। অর্থাৎ বৈঠকে দেরিতে ঢুকলে বা তাড়াতাড়ি কেটে পড়লে তৃণমূল নেতাদের আর রক্ষে নেই।
অনেকে আবার বলছেন, কার্ড যাদের কাছে পৌঁছেছে পুরভোটের দায়িত্ব বর্তাবে তাঁদের ওপরেই। সব মিলিয়ে কার্ড নিয়ে চরম শোরগোল শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেই।