নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে কুস্তির আখড়ায় পরিণত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেটা প্রকাশ্যে চলে এল দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনে। আর তা নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এই আবহে আজ, সোমবার সন্ধ্যাবেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে হাজির হন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই আগমন কি পরিস্থিতি সামাল দিতে? রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে উঠছে প্রশ্ন। আচমকা এই দু’জনের বাড়িতে হাজির হওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ইংরেজি নতুন বছরে তৃণমূল সুপ্রিমোর বাড়িতে হাজির হওয়ায় দুটি বার্তাই সামনে আসছে। এক, নতুন বছরে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হল। দুই, নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্ব যবনিকাপাত হতে পারে। ইংরাজি বছরের প্রথম দিন কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আগে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই সেখানে আসেন ফিরহাদ হাকিম। দু’জনের কাছেই কোনও খবর ছিল না পরস্পরের আসার। তবে নেত্রী সব খবরই রেখেছেন। সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কুণাল ঘোষ—কে, কি বলেছেন নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বে। এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অভিষেক দেখা করার মাঝেই সেখানে পৌঁছন ফিরহাদ হাকিম। সুতরাং নেত্রীর বাসভবনে হাজির নবীন–প্রবীণ দুই নেতা। এটাও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা মনে করছেন, এবার যাবতীয় টানাপোড়েনের অবসান হয়ে যাবে। কারণ এবার ময়দানে খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নেতারা দলনেত্রীর বাড়িতে যেতেই পারেন। কিন্তু নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বে যাঁরা লাইমলাইটে এসেছেন এমন দু’জনেই নেত্রীর সামনে হাজির। তাও আবার একই সময়ে। ফলে এটার একটা আলাদা গুরুত্ব থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে আবার লাইনচ্যুত পর্যটক ভর্তি টয়ট্রেন, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পরিষেবা
এদিন প্রত্যেক নেতারা যে মন্তব্য করেছেন তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। দলের কিসে মঙ্গল এবং তোষামুদি রাজনীতি এইসব মন্তব্য করেছেন কুণাল। সেসব কথা নেত্রীর কানে পৌঁছেছে। কুণাল ঘোষ আজ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই বাকিরা সংগঠন করছেন। অভিষেকই মমতার ব্যাটন হাতে তুলে নেওয়ার যোগ্যতম। তাই দল নিয়ে অভিষেকের পরামর্শ দেওয়ার থাকতেই পারে। তাতে দলেরই ভাল হবে। অভিষেক লড়াইয়ের ময়দানেই রয়েছেন। আর তিনি যে কথা বলতে চান, তা শুনলে দলেরই মঙ্গল।’