তৃণমূল কংগ্রেসই আসল কংগ্রেস। এটাই শোনা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক, সাংসদ থেকে নেতা–মন্ত্রীদের মুখে। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে যোগ্যতম মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেও দাবি করা হয়। এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই দাবিকেই সামনে আনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আর কেউ নেই বলে দাবি করেছেন। এমনকী কংগ্রেসের আদর্শগত অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘কংগ্রেস শুধু বলে। তৃণমূল কাজে করে।’
গতকাল শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নানা মন্তব্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ তারাই যারা দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে। দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। গণতন্ত্রে মানুষই ঠিক করে বিরোধী শক্তিকে।’ তাহলে বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ কি মমতা? অভিষেক সরাসরি বলেন, ‘আমি তো তাই মনে করি। মমতা এখন দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। দেশে অন্য কোনও দলে আর একজনকে দেখান, যিনি মমতার মতো লড়াই করে চলেছেন।’
কংগ্রেস নিয়ে কী অবস্থান অভিষেকের? কংগ্রেসের মতাদর্শগত অবস্থান নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। অভিষেকের কথায়, ‘কংগ্রেসের আদর্শটা ঠিক কী? সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ কংগ্রেস বাংলায় বামেদের সঙ্গে জোট করেছে। আবার কেরলে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। অসমে এআইডিইউএফ–এর সঙ্গে বোঝাপড়া করেছে। আর শিবসেনার মতো দলের সঙ্গেও বোঝাপড়া করেছে। আমরা কখনও আদর্শগত অবস্থান নিয়ে আপস করিনি। বাংলায় সিপিএমকে হারিয়ে দিয়েছি। বলতেই পারতাম, ত্রিপুরায় তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে ভোটে যাব। তা করিনি।’
অভিষেক–অধীরের বক্তব্য কী? বিরোধী দলের ভূমিকা পালনে কংগ্রেস ব্যর্থ বলে তিনি মনে করেন। তাই সমালোচনা করে অভিষেক বলেন, ‘কংগ্রেসের উপর মানুষ অনেকদিন ভরসা রেখেছিল। কিন্তু কোনও বিষয়ে টুইট করা এক কথা, আর তা নিয়ে লড়াইয়ে থাকা আর এক কথা। কংগ্রেস শুধু বলে আর তৃণমূল করে। তৃণমূলই আসল কংগ্রেস।’ এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘যে দল বিজেপির মন্ত্রিসভায় ছিল এবং এই রাজ্যে বিজেপিকে ডেকে এনেছে, তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। সারা দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী।’